আফগানিস্তানের সাবেক বিদ্রোহীরা ২০২১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন।
Published : 10 Nov 2024, 03:05 PM
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) উপস্থিত থাকবেন আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
রোববার আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একথা জানিয়েছে। ১১ থেকে ২২ নভেম্বর বাকুতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আফগানিস্তানের সাবেক বিদ্রোহীরা ২০২১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন। ২০ বছর ধরে নেটো সমর্থিত বাহিনীগুলোর সঙ্গে লড়াই করার পর ওই বছর কাবুল দখল করে তারা।
তারপর থেকে বাকুর কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন হবে তালেবান প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিত হওয়া বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের; জানিয়েছে রয়টার্স।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আফগানিস্তানের আসনটিতে তালেবান সরকারকে বসার অনুমতি দেয়নি। এর পাশাপাশি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারকে অনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও দেয়নি। নারী শিক্ষা এবং তাদের চলাফেরার স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপকে এর মূল কারণ হিসেবে দেখা হয়।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল কাহার বালখি জানিয়েছেন, কপ সম্মেলনে যোগ দিতে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সির কর্মকর্তারা আজারবাইজান গিয়েছেন।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীগুলো প্রত্যাহারের পর ফের দেশটির ক্ষমতায় বহাল হয় তালেবান, তখন তারা এই পরিবেশ সংস্থাটিও অধিগ্রহণ করে।
এর আগে তালেবান কর্মকর্তারা জাতিসংঘের উদ্যোগে কাতারের রাজধানী দোহায় আফগানিস্তান নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলোতে যোগ দিয়েছিলেন। গত দুই বছরে তালেবান মন্ত্রীরা চীনে ও মধ্য এশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু কপের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘ ব্যুরোর ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন ২০২১ সাল থেকে আফগানিস্তানের অংশগ্রহণ মুলতবি করে রাখে, এতে দেশটি কার্যকরভাবে এই আলোচনার বাইরে রয়ে যায়।
গত কয়েক বছর আফগানিস্তানের এনজিওগুলোর জলবায়ু আলোচনাগুলোতে অংশ নিতেও হিমশিম খেতে হয়।
তবে এবারের সম্মেলনের আয়োজক আজারবাইজান আফগানিস্তানের পরিবেশ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের কপ-২৯ এর পর্যবেক্ষক হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এই বিষয়ে জ্ঞাত এক কূটনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে বলেন, “এতে তারা সম্ভাব্য পরিবেশ আলোচনাগুলোতে অংশ নিতে পারবেন এবং সম্ভবত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারবেন।”
তিনি জানান, যেহেতু তালেবান আফগানিস্তানের বৈধ সরকার হিসেবে জাতিসংঘের ব্যবস্থায় স্বীকৃত না তাই তাদের কর্মকর্তারা পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কার্যধারায় অংশ নেওয়ার অনুমতিপত্র পাবেন না।
এ বিষয়ে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট দপ্তর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন: