মার্কিন তেলবাহী ট্যাংকার লক্ষ্য করে হুতিদের হামলা

‘বেশ কয়েকটি উপযুক্ত নৌ ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন জাহাজটিতে হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন হুতি মুখপাত্র।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2024, 09:40 AM
Updated : 25 Feb 2024, 09:40 AM

এডেন উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাবাহী, মালিকানাধীন ও পরিচালিত একটি তেলবাহী ট্যাংকার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতিরা।  

শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ বাহিনীগুলো ইয়েমেনের আটটি স্থানে হুতিদের ১৮টি লক্ষ্যস্থলে বিমান হামলা চালায়। এসব লক্ষ্যস্থলের মধ্যে ভূগর্ভস্থ অস্ত্র ভাণ্ডার ও ক্ষেপণাস্ত্র গুদাম, বিমান প্রতিরক্ষা পদ্ধতি, রাডার ও হেলিকপ্টার রয়েছে বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং হামলায় সহযোগিতা করা মিত্র দেশগুলো। 

অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও নিউ জিল্যান্ড এসব হামলায় সহযোগিতা করেছে, জানিয়েছে রয়টার্স।  

রোববার ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে জানান, তারা যে জাহাজটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছেন সেটির নাম এমভি টর্ম থর। ‘বেশ কয়েকটি উপযুক্ত নৌ ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন জাহাজটিতে হামলা চালানো হয়। 

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, ওই অঞ্চলের সাগরে থাকা মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ম্যাসন ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে এডেন উপসাগরে ছোড়া একটি জাহাজ-বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। 

এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্ভবত তেলবাহী ট্যাংকার এমভি টর্ম থর লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল।

নিজেদের বিবৃতিতে সেন্টকম দাবি করেছে, ইউএসএস ম্যাসন বা এমভি টর্ম থর্ন, এর কোনোটিতেই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত লাগেনি এবং কেউ হতাহতও হয়নি।

ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে ১৯ নভেম্বর থেকে ইয়েমন উপকূলের লোহিত সাগর, বাব আল-মানদাব ও এডেন উপসাগর দিয়ে চলাচলরত বিভিন্ন জাহাজে হামলা চালাচ্ছে হুতিরা। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হামলায় ইসরায়েলকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেওয়া দেশগুলোর জাহাজ লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে তারা।

এসব হামলা থেকে হুতিদের বিরত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইয়েমেনে গোষ্ঠীটির বিভিন্ন লক্ষ্যস্থলে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু নিয়মিত হামলা চালানোর পরও গোষ্ঠীটির এসব তৎপরতা বন্ধ করতে বাথ্র্য হয়েছে পশ্চিমা এই দুই শক্তিধর দেশ।     

আরও পড়ুন:

Also Read: গাজা যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা পেশ করলেন নেতানিয়াহু