বালুর নমুনা সংগ্রহে টিটু দ্বীপের কাছে স্যান্ডি কে-তে যেতে চাইলে চীনা কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ জোর করে তাদের দুটি নৌযানকে সরিয়ে দেয়, দাবি ম্যানিলার।
Published : 25 Jan 2025, 02:25 PM
চীনা কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর আগ্রাসী আচরণ এবং গবেষণাকাজে ব্যবহৃত দুটি নৌযান ‘হয়রানির’ শিকার হওয়ায় দক্ষিণ চীন সাগরে বৈজ্ঞানিক জরিপ স্থগিত করার কথা জানিয়েছে ফিলিপিন্স।
শনিবার এক বিবৃতিতে দেশটির কোস্ট গার্ড বলে, শুক্রবার ফিলিপিন্সের দুটি ফিশারিজ নৌযান বালুর নমুনা সংগ্রহে টিটু দ্বীপের কাছে স্যান্ডি কে-তে যেতে চাইলে চীনা কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজের ‘আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের’ মুখোমুখি হয়। পাশাপাশি চীনা নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও ওই জলযানগুলোর ওপর ‘অনিরাপদ উচ্চতায়’ উড়ে যায়।
চীনের কোস্টগার্ডও ফিলিপিন্সের দুটি নৌযানকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত টিটু দ্বীপটি ফিলিপিন্সের নিয়ন্ত্রণে আছে। চীন পুরো স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করলেও এর অনেক দ্বীপ ও সংলগ্ন অঞ্চল মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সের দখলে আছে।
দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে বছরে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়। কৌশলগত এই সমুদ্রপথে কার কতখানি অধিকার তা নিয়েও ম্যানিলা ও বেইজিংয়ের মধ্যে বিরোধ আছে। চীন দীর্ঘদিন ধরে পুরো জলসীমার মালিকানা দাবি করে এলেও ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের তাতে আপত্তি জানিয়ে আসছে।
চীনের কোস্ট গার্ড তাদের বিবৃতিতে বলে, স্যান্ডি-কেসহ স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের ওপর চীনের ‘অবিসংবাদিত সার্বভৌমত্ব’ রয়েছে।
ফিলিপিন্সের দুটি নৌযানকে টিসিয়ান প্রবালপ্রাচীরের কাছে বাধা দেওয়া হয় এবং পরে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জলসীমা থেকে বিতাড়িত করা হয়, বলেছে তারা।
চীন স্যান্ডি কে-কে টিসিয়ান প্রবালপ্রাচীর নামে ডাকে।
ফিলিপিন্সের নৌযান দুটি অনুমতি ছাড়াই টিসিয়ান প্রবালপ্রাচীরের কাছে জলসীমায় প্রবেশ করে এবং বালুর নমুনা সংগ্রহে অবৈধভাবে প্রবালপ্রাচীরে নামার চেষ্টা চালায়, অভিযোগ বেইজিংয়ের।
এ ঘটনা নিয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে বেইজিংয়ের ফিলিপিন্স দূতাবাস এবং ম্যানিলার চীনা দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।