“প্রতিরোধের অস্ত্র নিয়ে কোনো আলোচনাই হবে না, এটি ততদিন আমাদের হাতে থাকবে যতদিন দখলদারিত্ব থাকবে,” বলেছেন হামাস নেতাদের মিডিয়া উপদেষ্টা তাহেল আল-ননো।
Published : 27 Apr 2025, 04:42 PM
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েক বছরব্যাপী যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী, তবে কোনোভাবেই অস্ত্র সমর্পণ করবেন না।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে কায়রোতে হামাস নেতাদের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনা চলছে, তার মধ্যেই শনিবার ফিলিস্তিনি এ সশস্ত্র গোষ্ঠীটির কর্মকর্তা দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতিতে হামাসের আগ্রহের বিষয়টি জানান।
হামাস তাদের প্রস্তাব নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের মন জোগাতে আশাবাদী। তারা যুদ্ধ বন্ধ ও গাজা পুনর্গঠনের সুযোগ করে দিতে এবং সব জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া ও ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ৫ থেকে ৭ বছর মেয়াদী যুদ্ধবিরতিতেও রাজি হতে পারে, বৈঠকঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব বলেছে।
“যুদ্ধবিরতি বা এর সময়কাল সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাবই আমরা প্রত্যাখ্যান করিনি, এবং আমরা আলোচনার কাঠামোর মধ্যেই এটি নিয়ে কথা বলতে প্রস্তুত। যুদ্ধ শেষ করার যেকোনো গুরুতর প্রস্তাব নিয়ে কথা বলতে জন্য আমরা আগ্রহী,” বলেছেন হামাস নেতাদের মিডিয়া উপদেষ্টা তাহেল আল-ননো।
ইসরায়েল গাজাকে ‘নিরস্ত্র’ দেখতে চায়, সে লক্ষ্যে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণেরও আহ্বান জানিয়েছে তারা। কিন্তু ননো বলছেন, এই দাবি কোনোদিনই পূরণ হওয়ার নয়।
“প্রতিরোধের অস্ত্র নিয়ে কোনো আলোচনাই হবে না, এটি ততদিন আমাদের হাতে থাকবে যতদিন দখলদারিত্ব থাকবে,” বলেছেন তিনি।
যে সনদের ভিত্তিতে হামাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানে ইসরায়েল ধ্বংসের অঙ্গীকার আছে। যদিও অতীতে তারা ইঙ্গিত দিয়েছিল—ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসানের বদলে তেল আবিবের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি হতে পারে।
কয়েকদিন আগে ইসরায়েলের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শারেন হাসকেল বলেছিলেন, ইসরায়েলের মূল দাবিগুলো পূরণ না হলে নতুন কোনো প্রস্তাব থেকে বড় ধরনের অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
“হামাস যদি ৫৯ জিম্মিকে মুক্তি দেয় এবং তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে তাহলে কালকেই যুদ্ধ শেষ হতে পারে,” মঙ্গলবার জেরুজালেমে এমনটাই বলেছিলেন তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে। তাদের ধারাবাহিক হামলায় এই কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভূখণ্ডটির প্রায় ২ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ইসরায়েল গাজার বেশ কিছু অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণেও নিয়ে নিয়েছে, এগুলোকে ‘বাফার জোন’ বলছে তারা।