ইসরাইলি নেতাদের প্রসঙ্গ টেনে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় এই নেতা বলেন, “গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি যথেষ্ট নয়। এসব অপরাধী নেতাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ জারি করতে হবে।”
Published : 25 Nov 2024, 05:23 PM
গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইরত হামাস ও লেবাননে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সমর্থনকারী ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলি নেতাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
তিনি সোমবার বলেছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, ইসরায়েলি নেতাদের মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা জারি করা উচিত।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, তার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও এক হামাস নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, সেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এ মন্তব্য করেন।
ইসরাইলি নেতাদের প্রসঙ্গ টেনে খামেনি বলেন, “তারা (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, এটিই যথেষ্ট নয়। এই অপরাধী নেতাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ জারি করতে হবে।”
আইসিসি-র বিচারকরা তাদের পরোয়ানা জারির আদেশে বলেছেন, “নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালানন্ত ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় মানুষকে অনাহারে রাখা এবং ফিলিস্তিনিদেরকে নিপীড়নের অপরাধে দায়ী, সেটি বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি আছে।”
আইসিসি’র এই পরোয়ানার সিদ্ধান্তের জেরে ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা গেছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ এই রায়কে লজ্জাজনক এবং অযৌক্তিক আখ্যা দিয়েছে। গাজার বাসিন্দারা ইসরায়েলি নেতাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
ওদিকে, ইসরায়েল গণহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। আইসিসি ঘোষিত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রভাব নির্ভর করবে আদালতের ১২৪ টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনের ওপর। যদিও এই সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ইসরায়েল বা তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্ভুক্ত নয়।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও ইতালির কর্মকর্তারা আদালতের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নেতা আল-মাসরিরর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলায় গণহারে হত্যাযজ্ঞ চালানো, ধর্ষণ এবং মানুষজনকে জিম্মি করার অভিযোগ করা হয়েছে।