পাকিস্তানের আপত্তি ঠেলে কাশ্মীরেই জি২০ বৈঠকে অটল ভারত

পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া তিনটি যুদ্ধের দুটিই হয়েছে কাশ্মীর নিয়ে।

রয়টার্স
Published : 13 April 2023, 06:27 PM
Updated : 13 April 2023, 06:27 PM

হিমালয়ের বিরোধপূর্ণ অঞ্চল কাশ্মীর ও লাদাখে আগামী মাসে জি২০-র বৈঠক করার ভারতের সিদ্ধান্তে পাকিস্তান যে আপত্তি জানিয়েছে, তা উপেক্ষা করে নিজ অবস্থানেই অটল রয়েছে নয়াদিল্লি। বলেছে, নিজস্ব ভূখন্ডের যে কোনও জায়গায়ই তারা অবাধে বৈঠক করতে পারে।

উভয় দেশই সমগ্র কাশ্মীরের মালিকানা দাবি করলেও প্রত্যেকে এর পৃথক পৃথক অংশ শাসন করছে। পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে হওয়া তিনটি যুদ্ধের দুটিই হয়েছে কাশ্মীরকে নিয়ে।

ভারত এখন জি২০-র প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছে, তারা সেপ্টেম্বরের শুরুতে রাজধানী নয়া দিল্লিতে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের সম্মেলনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।

সম্মেলনের আগে ভারত জি২০-র বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠক ও ইয়ুথ ২০-র বৈঠকের যে পুরো সূচি প্রকাশ করেছে, তাতে এপ্রিল-মে’র বৈঠকস্থল হিসেবে কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল লাদাখের লেহ-ও স্থান পেয়েছে।

বিরোধপূর্ণ অঞ্চলকে এমন বৈঠকের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়ায় গত মঙ্গলবার এর নিন্দা জানায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

“জম্মু ও কাশ্মীরে নিজেদের অবৈধ দখলকে চিরস্থায়ী করতে ভারত একের পর যে সমস্ত স্বার্থপর পদক্ষেপ নিয়েছে, তার সর্বশেষটা হচ্ছে এই দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ,” বিবৃতিতে বলেছে তারা।

এর প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাংবাদিকদের বলেছেন, “জি-২০ সম্মেলন এবং বৈঠক ভারতজুড়েই হচ্ছে। আর এ সমস্ত বৈঠক ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে করাটাই স্বাভাবিক।”

ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর; এখানে কয়েক দশক ধরে চলা বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় পাকিস্তান মদদ দিচ্ছে বলে ভারত দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে।

ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তারা কেবলমাত্র আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চাওয়া কাশ্মীরিদের কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থনই দিয়ে যাচ্ছে।

ভারত তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মীরের কিছু অংশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে পাকিস্তান যে অভিযোগ করে আসছে, নয়া দিল্লিও তা অস্বীকার করে আসছে।