এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে বর্ণনা করেছে ইসরায়েলের পুলিশ ও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত।
Published : 20 Aug 2024, 11:03 AM
ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিব শহরের একটি সিনাগগের কাছে বোমা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসাম ব্রিগেড ও তাদের মিত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ।
রোববার রাতের এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে বর্ণনা করেছে ইসরায়েলের পুলিশ ও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জানিয়েছিল, যে ব্যক্তি বোমাটি বহন করছিল সে নিহত হয়েছে আর একজন পথচারী আহত হয়েছে।
ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার বলেছেন, ওই ব্যক্তি বিস্ফোরক ভরা একটি ব্যাকপ্যাক বহন করছিল আর ‘আরও বেশি মানুষ আছে এমন এলাকায় পৌঁছতে সক্ষম হওয়ার আগেই’ সেটির বিস্ফোরণ ঘটায়।
সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন দু’টি বলেছে, “দখলদারদের গণহত্যা ও গুপ্তহত্যার নীতি যতোদিন চলমান থাকবে ততদিন ইসরায়েলের ভেতরে এই রকম শহীদি অভিযান ফিরে ফিরে আসবে।”
বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও ৩১ জুলাই তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার গুপ্তহত্যার দিকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য রাখা হয়েছে বলে লিখেছে রয়টার্স।
ইরানের রাজধানীতে হানিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ইসরায়েল দায় স্বীকার বা অস্বীকার, কোনোটাই করেনি। কিন্তু হানিয়া হত্যার জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে ইরান ও হামাস।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনকে জিম্মি করার পর থেকে ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজায় ৪০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে আর ভূখণ্ডটির বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোববার তেল আবিবে পৌঁছানোর প্রায় এক ঘণ্টা পর শহরটিতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। গাজা যুদ্ধ অবসানে ইসরায়েল ও হামাসকে একটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়েছেন তিনি।
হানিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালানোর প্রত্যয় জানিয়েছে ইরান। শুধু গাজা যুদ্ধের অবসান হলে তারা এ হামলা থেকে বিরত থাকতে পারে বলে তেহরান জানিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গাজা যুদ্ধের ইতি টানার জন্য একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছতে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে, কারণ ইরান ইসরায়েলে হামলা চালালে তা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বৃহত্তর যুদ্ধের সূচনা ঘটাতে পারে।