দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান কোনো প্রেসিডেন্টের জন্য প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ঘটনা এটি।
Published : 31 Dec 2024, 10:14 AM
প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের জন্য একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদন করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার এক আদালত, জানিয়েছে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ।
ইউন ৩ ডিসেম্বর সবাইকে হতবাক করে দেশে সামরিক আইন জারি করেছিলেন। এই সিদ্ধান্তের জন্য অভিশংসিত করে তাকে ক্ষমতা থেকে বরখাস্ত করা হয়।
রয়টার্স জানায়, ইউনের স্বল্প মেয়াদি সামরিক আইন জারির বিষয়টি নিয়ে তদন্তরত কর্মকর্তাদের অনুরোধে মঙ্গলবার সিউলের ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট আদালত পরোয়ানাটি অনুমোদন করে বলে উচ্চ পদাধিকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত দপ্তর (সিআইও) নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান কোনো প্রেসিডেন্টের জন্য প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ঘটনা এটি।
দেশটির ইয়োনহ্যাপ বার্তা সংস্থা সিআইওকে উদ্ধৃত করে জানায়, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে আর ইউনকে যদি গ্রেপ্তার করা হয় তবে তাকে সিউলের ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইয়োনহ্যাপ বলছে, ইউন ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া সমনে সাড়া দেবেন না এমন সম্ভাবনা থাকায় আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন আর ইউন একটি অপরাধ করেছেন এমন সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে।
তবে এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধ আদালত প্রত্যাখ্যান করেছে।
সামরিক আইন ঘোষণার পর থেকে তদন্তাকারীরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউনকে তিনবার সমন পাঠালেও তিনি সাড়া দিতে ব্যর্থ হন।
ইউন একটি বিদ্রোহের নেতা ছিলেন, এমন অভিযোগে ফৌজদারি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। দক্ষিণ কোরিয়ার একজন প্রেসিডেন্ট যে অল্প অভিযোগগুলো থেকে দায়মুক্তি পান না তার মধ্যে ‘বিদ্রোহ’ অন্যতম।
ইউনের জন্য জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ান কখন এবং কীভাবে কার্যকর করা হবে তা পরিষ্কার হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা পরিষেবা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটিকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী বিবেচনা করবে।
সিআইও জানিয়েছে, আদালত ইউনের বাসভবনে তল্লাশি চালানোর জন্যও একটি পরোয়ানা অনুমোদন করেছে।
এর আগে তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল, কিন্তু প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা পরিষেবা তাদের আটকে দেওয়ায় সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।