বিভিন্ন কোম্পানিই অনলাইন কনটেন্টের এমন স্বয়ংক্রিয় সারাংশ নিয়ে কাজ করেছে। সংবাদ প্রতিবেদন সংক্ষিপ্ত করার ফিচার চালু করেছে এআই কোম্পানি ‘আর্টিফ্যাক্ট’।
Published : 06 Aug 2023, 06:16 PM
এআই’র মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউটিউব ভিডিও’র সারাংশ তৈরি করার নতুন এক পরীক্ষা চালাচ্ছে গুগল।
৩১ জুলাই গুগল সাপোর্ট পেইজের নোটিশে বলা হয়, কেবল হাতে গোনা কয়েকটি ইংরেজি ভাষার ভিডিওতে দেখা যাবে এইসব সারাংশ। আর অল্প সংখ্যক ব্যবহারকারীই দেখতে পাবেন এগুলো।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ বলছে, এমন সারাংশের দেখা মিলবে ইউটিউব ওয়াচ ও এর সার্চ পেইজে। আর ভিডিও নির্মাতার দেওয়া বর্ণনায় বদল না এনেই বিভিন্ন কনটেন্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা পাওয়া যাবে এগুলোর মাধ্যমে।
“আমরা ইউটিউবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সারাংশ তৈরি নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছি যাতে আপনি সহজেই ভিডিও সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা পাওয়ার পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এটি আপনার উপযোগী কি না।” --লেখা ছিল সাপোর্ট পেইজে।
অ্যান্ড্রয়েড পুলিস বলছে, এই পরীক্ষায় অংশ নিতে ব্যবহারকারীদের ‘YouTube.com/new’ সাইটে সাইনআপ করতে হবে। তবে, কিছু পরীক্ষার বেলায় ইউটিউব প্রিমিয়াম গ্রাহক সেবার সদস্য হতে হবে।
ভার্জের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে গুগলের মুখপাত্র জেন জেইমি বলছেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন নতুন ফিচার চালু করার আগে আমরা প্রায়ই এমন পরীক্ষা চালিয়ে থাকি।”
জেইমির মতে, দর্শকরা সম্ভবত বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইসের ইংরেজি ভাষার ভ্লগ, শপিং ও ‘হাও টু’ বিষয়ক ভিডিওগুলোতে এমন স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি সারাংশ দেখতে পাবেন।
এই উদীয়মান প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে গুগলের প্রতিযোগিতায় নামার বেশ কিছু উদ্যোগের একটি ইউটিউবে এই পরীক্ষা। মে মাসে আয়োজিত ডেভেলপার্স কনফারেন্সে ব্যবহারকারীর অ্যাপ রিভিউ সংক্ষিপ্ত করতে জেনারেটিভ এআইভিত্তিক নতুন প্লে স্টোর ফিচার আনার ঘোষণা দিয়েছিল কোম্পানিটি। গুগলের এআই উদ্যোগের কথা বিবেচনায় নিলে এই পদক্ষেপ ক্ষুদ্র একটি অংশ। কোম্পানির অন্যান্য প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে ওয়ার্কস্পেস অ্যাপগুলোর জন্য ‘সার্চ জেনারেটিভ এক্সপিরিয়েন্স’, ও ‘ডুয়েট এআই’র মতো এআই ব্যবস্থা।
কেবল গুগল নয়, অন্যান্য কোম্পানিও অনলাইন কনটেন্টের এমন স্বয়ংক্রিয় সারাংশ নিয়ে কাজ করেছে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন সংক্ষিপ্ত করার ফিচার চালু করেছে এআই কোম্পানি ‘আর্টিফ্যাক্ট’।
ফিচারটি আনুষ্ঠানিকভাবে এলে এমন এআই’র তৈরি সারাংশ কীভাবে ইউটিউব কনটেন্ট নির্মাতাদের ভিডিও’র কাঠামোর ওপর প্রভাব ফেলবে, তা এখনও দেখা বাকি। প্ল্যাটফর্মটিতে বিভিন্ন নতুন বদল বা ফিচার চালু হলে সেটি এর ‘কনটেন্ট ইকোসিস্টেমে’ও প্রভাব ফেলে। কনটেন্ট নির্মাতাদের প্ল্যাটফর্মটিতে ‘অস্পষ্ট রেকমেন্ডেশন অ্যালগরিদম আকৃষ্ট করার’ বিষয়টি এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভার্জ।
দর্শক ও গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা উভয়ই বুঝতে পারে, এমন ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে কনটেন্ট নির্মাতারা কী করবেন, তা কেবল সময়ই বলে দেবে।