Published : 19 May 2024, 01:05 AM
গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া এবং দক্ষিণে মিশর সীমান্তের রাফা নগরীর আরও গভীরে ট্যাংক নিয়ে প্রবেশ করে ইসরায়েলি সেনাদের চালানো অভিযানে বেশ কিছু সংখ্যক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিবাসী ও চিকিৎসাকর্মীরা।
গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল গত জানুয়ারিতে অভিযান শেষের ঘোষণা দেওয়ার পর এ মাসে আবারও সেখানে অভিযান চালাতে ফিরে গেছে। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে আবার সংগঠিত হতে না দেওয়ার জন্য ইসরায়েল ফের উত্তর গাজায় হানা দিয়েছে।
সেখানকারই একটি স্থান হচ্ছে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির। গাজার আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।
শনিবার ইসরায়েলের সেনারা ট্যাংক নিয়ে স্থল অভিযানে জাবালিয়ার গভীরে ঢুকে রাস্তায় রাস্তায় হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে অধিবাসীরা। তাদের একটি হামলাতেই ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এবং জরুরি নাগরিক সেবা বিভাগ জানিয়েছে, তারা হতাহতের ঘটনার একাধিক ফোন কল পেয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের স্থল ও বিমান হামলা চলার কারণে অনুসন্ধান কাজ চালাতে পারছে না।
একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে জাবালিয়ার এক অধিবাসী রয়টার্সকে বলেছেন, “আজ বোমা হামলার সবচেয়ে কঠিন একটি দিন। বিমান এবং ট্যাংক থেকে অবিরাম গোলা হামলা চলছে। আমরা জানি কয়েক ডজন মানুষ হতাহত হয়েছে। কিন্তু কোনও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারছে না।”
রাফায় ইসরায়েলের ট্যাংক পূর্বাঞ্চলের শহরতলীতে ঢুকে পড়েছে। সেখানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গেতাদের লড়াই চলছে। সারারাত ইসরায়েলের বিমান এবং স্থল হামলা চলার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের মূল ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, ৬ মে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর রাফা থেকে ছয় লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাড়ে সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধে অন্তত ৩৫ হাজার ৩০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ত্রাণ সংস্থাগুলো বারবার সতর্ক করে বলেছে, ব্যাপক অনাহার এবং জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।