বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘সাউন্ড লেজার’ তৈরির দাবি বিজ্ঞানীদের

অন্যান্য আলোভিত্তিক লেজারের মতো বিকৃত না হয়ে একই পরিমাণে তরল পদার্থের মধ্য দিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আছে নতুন এ ফোনন লেজারটির।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2024, 10:44 AM
Updated : 20 March 2024, 10:44 AM

চীনের গবেষকরা সম্প্রতি নতুন একটি ডিভাইস তৈরির দাবি করেছেন, যা শব্দ কণা থেকে লেজার রশ্মি তৈরি করতে পারে।

চীনের চাংশা শহরের ‘হুনান নরমাল ইউনিভার্সিটি’র একদল গবেষক এ ‘সাউন্ড লেজার’টি তৈরি করেছেন। একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি আগের যে কোনো ডিভাইসের তুলনায় ১০গুণ শক্তিশালী এটি।

প্রচলিত লেজারে একটি সরু রশ্মিতে ফোটন নামের আলোক কণা উৎপন্ন হলেও এর বিপরীতে নতুন ‘সাউন্ড লেজার’টি থেকে বের হয় ‘ফোনন’ নামের শব্দকণা।

অপটিক্যাল লেজারের অ্যাকিউসটিক অ্যানালগ হিসাবে ‘সাউন্ড লেজার’টি উচ্চ গতিতে তথ্য পাঠাতে পারে।

অন্যান্য আলোভিত্তিক লেজারের মতো বিকৃত না হয়ে একই পরিমাণে তরল পদার্থের মধ্য দিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আছে নতুন এ ফোনন লেজারটির।

এর মানে, লেজারটিকে বায়োমেডিসিন থেকে শুরু করে পানির নিচে পর্যবেক্ষণের কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে, যা বর্তমানে প্রচলিত যে কোনো প্রযুক্তির চেয়ে বেশি কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে বলে ধারণা গবেষকদের।

‘সাউন্ড লেজার’ দুটি আলোর রশ্মি দিয়ে তৈরি একটি ‘অপটিক্যাল ট্যুইজারের (এক জোড়া চিমনির মতো একটি ছোট যন্ত্র)’ মধ্যে ক্ষুদ্র বিড দিয়ে কাজ করে। এ বিডের আকার ব্যাকটেরিয়ামের সমান, যা প্রতিফলিত গহ্বরে কম্পন সৃষ্টির কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর এ কম্পন থেকে নির্গত ফোননকে ‘অ্যাপ্লিফাই’ করা সম্ভব।

গবেষণার সময় বিজ্ঞানীরা ফোনন লেজারটি এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চালাতে পেরেছেন। তবে, ব্যবহারিক জীবনের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহারের জন্য এ প্রযুক্তি প্রস্তুত হতে আরও সময় লাগবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় ‘কর্নেল ইউনিভার্সিটি’র ওয়েবসাইটে ‘জায়ান্ট এনহ্যান্সমেন্ট অফ হাইয়ার-অর্ডার হারমোনিকস অফ অ্যান অপটিক্যাল-টুইজার ফোনন লেজার’ শিরোনামে প্রকাশ পেয়েছে গবেষণাটি।

এ ‘ফোনন লেজার’কে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহারের একটি ‘অনন্য টুল’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন গবেষকরা।

এ গবেষণার ফলাফলে উল্লেখ করা হয়, ‘আল্ট্রাসাউন্ড’ পাঠানো, বায়ুমণ্ডলীয় পর্যবেক্ষণ এমনকি বায়ো-মেডিকেলের মতো চিকিৎসা খাতে ‘সহজেই ব্যবহার করা যেতে পারে’ এ লেজারটি।