রাজনৈতিকভাবে দৃষ্টিকোণ থেকে টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক ও ডনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক পরামর্শক স্টিভ ব্যনন একই শিবিরে থাকার কথা মনে হলেও আদতে দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে সম্পর্ক আসলে দা-কুমড়া!
গেল শুক্রবার প্রযুক্তি ঋণদাতা ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি ধসের মুখে পড়ে। এটি বিবেচিত হচ্ছে, ব্যাংকিং খাতে মার্কিন ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম পতন হিসেবে।
ইলেকট্রনিক কোম্পানি রেজারের প্রধান নির্বাহি মিন-লিয়াং তান মাস্ককে ‘সিলিকন ভ্যালি’ ব্যাংক কেনায় আগ্রহী করে তুলেছেন। এ নিয়ে সম্প্রতি ব্যননের মন্তব্য জানতে চান ডানপন্থী পডকাস্টার টিম পুল। আর তাতেই বেরিয়ে এল নানা কেচ্ছা।
মাস্ক অবশ্য ব্যাংক কেনা নিয়ে বলেছেন, তিনি এই ‘ধারণার পক্ষে কাজ করতে আগ্রহী’।
অন্যদিকে, পুলের ভাষ্যমতে ‘কিছুটা খ্যাপাটে’ ওই ধারণার উপহাস করেন ব্যানন। এর পাশাপাশি, চীনের প্রতি টেসলা সিইও’র খাতির দেখানোর বিষয়টি নিয়েও বিদ্রুপ করেন তিনি।
ডনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক এই পরামর্শক মাস্কের তীব্র সমালোচনা করে অভিযোগ তোলেন, টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর ‘সত্যিকারের’ চীন বিরোধী সরকারী ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মাস্ক। এর শিকার তিনি নিজেও।
“আসলেই?” --কিছুটা অবাক হয়ে বলেন পডকাস্টের ওই পর্বে উপস্থিত রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য ম্যাট গেটজ।
“তাকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কিনে রেখেছে।” --বলেন ব্যানন।
তিনি দাবি করেন, মাস্কের ‘ একমাত্র মূল্যবান’ কোম্পানি হলো টেসলা ও এর সাংহাইয়ের যৌথ উদ্যোগ। এ শহরে কোম্পানির তৃতীয় গিগাফ্যাক্টরি তৈরির পরিকল্পনা করেছে টেসলা। আর এটা শতভাগ চীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
“ইলন মাস্ক পুরোপুরি ছদ্মবেশী।” --বলেন ব্যানন।
“তাকে দেখলে মনে হয়, তার মালিকানা ও রসদ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির হাতে।”
পুল আরও দাবি করেন, করোনাভাইরাসের উৎপত্তির জায়গা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া ‘ল্যাব লিক’-এর প্রচারণা বন্ধে মাস্ককে চীনা সরকার চাপ দিয়েছে। আর ওই চাপে তিনি নত হয়েছেন।
ট্রাম্পের সাবেক এই পরামর্শকের দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘মাস্ককে তীব্র সমালোচনা’ করা অংশটি টুইটারে শেয়ার করেন গেটজ। আর কোম্পানির সিইও মাস্ককে ট্যাগ করে এই সম্পর্কে তার মনোভাবও জানতে চান তিনি।
মাস্কও বিষয়টি পরিষ্কার করে দেন যে, ব্যাননের সঙ্গে তার কোনো মাখামাখি নেই।
“আমি আগে ভাবতাম ব্যানন একজন বুদ্ধিমান শয়তান। তবে এখন বুঝতে পারছি, প্রথম বিশেষণে আমি ভুল ছিলাম।” – জবাবে লেখেন মাস্ক।