Published : 05 Mar 2024, 05:14 PM
গোটা বিশ্বে খনিজ তেল ও গ্যাস উত্তোলন থেকে হওয়া মিথেন নিঃসরণের মাত্রা পর্যবেক্ষণে মহাকাশে নতুন একটি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে গুগল ও মার্কিন অলাভজনক সংস্থা ‘এনভায়রনমেন্টাল ডিফেন্স ফান্ড (ইডিএফ)’।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ‘মিথেনস্যাট’ নামের এ স্যাটেলাইটটি। মহাকাশ কক্ষপথে এরইমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর লক্ষ্যে কাজ করা স্যাটেলাইটের বহরে নতুন সংযোজন এটি, যেগুলো সাধারণত অদৃশ্য তবে শক্তিশালী গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের তথ্য প্রকাশ করে থাকে।
সাধারণত খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন, কৃষি বর্জ্য ও বিভিন্ন ভাগার থেকে মিথেন গ্যাস নির্গত হয়ে থাকে, যেগুলো গ্রিন হাউজ গ্যাস হিসেবে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইডের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর।
এদিকে, ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইএসএ’ ও ‘জিএইচজিস্যাট’ নামের একটি স্যাটেলাইটভিত্তিক ট্র্যাকার এরইমধ্যে মিথেন নিঃসরণের তথ্য সরবরাহ করছে। তবে, মিথেনস্যাটের মাধ্যমে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি মিথেন নিঃসরণের মাত্রা আরও বিস্তৃত উপায়ে দেখা যাবে বলে দাবি করেছে নতুন এই স্যাটেলাইটের উদ্যোক্তারা।
‘ইডিএফ’ বলেছে, স্যাটেলাইটের সরবরাহ করা ডেটার আওতায় পড়বে ৫০টির বেশি খনিজ তেল ও গ্যাস কোম্পানি, যারা গত বছরের ডিসেম্বরে আয়োজিত ‘দুবাই কপ২৮’ জলবায়ু সম্মেলনে মিথেনের মাত্রা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার ও নিত্যদিনের জ্বলন্ত গ্যাসের মাত্রা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এতে করে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন মিথেন সংশ্লিষ্ট নীতিমালা মেনে চলার প্রস্তুতিও নিতে পারবে কোম্পানিগুলো, যেখানে মিথেনের দূষণ নিয়ে একটি জরিমানা ধার্য করার সম্ভাবনাও রয়েছে।
“এর মাধ্যমে আমরা দেখতে পারব, মিথেন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে কারা পিছিয়ে রয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে, সেই তথ্য ব্যবহার করে তারা একটি গঠনমূলক উপায়ে নিজেদের কার্যকারিতা উন্নত করবে,” বলেন ইডিএফ-এর এনার্জি ট্রানজিশন বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক ব্রাউনস্টিন।
মিথেনস্যাট স্যাটেলাইট নির্মাণে একজোট হয়ে কাজ করেছে নিউ জিল্যান্ড স্পেস এজেন্সি ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। এ বছরের শেষ নাগাদ এর ডেটা প্রকাশ্যে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ইডিএফ। আর স্যাটেলাইটের ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কম্পিউটিং সক্ষমতা সরবরাহ করবে গুগল ক্লাউড।