এমনও কিছু ফুল রয়েছে যারা নিজেদেরকে ‘সোলার হিটার’-এ পরিণত করতে পারে, যাতে দর্শনার্থী পোকামাকড় এদের সংস্পর্শে এসে উষ্ণ হয়।
Published : 11 Apr 2025, 03:29 PM
বসন্তের শীতল বাতাসে একটি ফুলের ফুল হয়ে ওঠা কঠিন। এ সময় ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে উড়তে পছন্দ করে না পরাগায়নে সহায়ক বিভিন্ন পোকামাকড়।
এমনও কিছু ফুল রয়েছে যারা নিজেদেরকে ‘সোলার হিটার’-এ পরিণত করতে পারে, যাতে দর্শনার্থী পোকামাকড় এদের সংস্পর্শে এসে উষ্ণ হয়। এতে করে বাড়ে পরাগায়নের সম্ভাবনাও।
গবেষকরা বলছেন, পোকামাকড়কে আকৃষ্ট করতে ও নিজেদেরকে আরামদায়ক রাখতে শরীরের তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়িয়ে তুলতে পারে কিছু পাহাড়ি প্রজাতির কাপ আকৃতির সাদা ফুল।
এ উষ্ণতা ফুলকে পোকামাকড়ের জন্য মিষ্টি মধুর সৌরভ ছড়াতেও সাহায্য করে, যা ফুলের আশপাশে পোকামাকড়দের ঘুরে বেড়াতে, ফুলের ওপর ভেসে বেড়াতে ও এদের খাবারের যোগান দিয়ে উৎসাহিত করে। ফলে পরাগায়নের সম্ভাবনাও বেড়ে যায় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক পত্রিকা গার্ডিয়ান।
ফুলের পরাগায়ন প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে তোলে এই উষ্ণতা, ফলে বীজ সংগ্রহ ও অঙ্কুরোদগম আরও উন্নত হয়। এ বিষয়টি উদ্ভিদ ও পোকামাকড়ের জন্য ঠাণ্ডা পরিবেশেও সাফল্যজনক পরিবেশ তৈরি করে।
দিনের বেলায় সূর্যের আলোর সবচেয়ে কার্যকর ব্যবহারের জন্য সূর্যকে অনুসরণ করে আর্কটিক অঞ্চলের পপি ফুল। তবে রাতের বেলায় অর্থাৎ ম্লান আলোতে নিজেদের উষ্ণ রাখার কাজ বন্ধ করে দেয় এরা।
সূর্যের আলো পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার নিজেদেরকে মেলে ধরে এসব ফুল, যা এদেরকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে। এভাবেই নিজেদেরকে উষ্ণ রাখার পাশাপাশি আশপাশের পোকামাকড় ও উদ্ভিদ জন্মাতে ভূমিকা রেখে চলেছে ফুল।
গবেষকরা বলছেন, কিছু ফুল নিজেকে ছোট আকারের গ্রিনহাউসেও পরিণত করে ও নিজের ভেতরের একটি চেম্বারে সূর্যের তাপকে আটকে রাখে।
এজন্য হলুদ র্যাটেল ফুল তার আশপাশে ঘিরে থাকা স্বচ্ছ মঞ্জরীপত্র থেকে তৈরি বুদবুদ আকৃতির কাঠামো ব্যবহার করে।
এগুলো ফুলকে সূর্যের অতিবেগুনী আলোকে ফিল্টার করে দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মধ্য দিয়ে যেতে সাহায্য করে, যা গ্রিনহাউসের মতো ফুলের চেম্বারের ভেতরে বাতাসকে গরম করে তোলে।