Published : 20 Aug 2023, 02:50 PM
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আসন্ন যৌথ সামরিক মহড়ায় সাইবার আক্রমণ চালাতে চায় উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা --এমনই দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
এই সপ্তাহে হতে যাওয়া সামরিক মহড়ায় সম্ভাব্য সাইবার হামলা নিয়ে গেল রোববার এই কথা জানিয়েছে দ.কোরিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে, এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি তারা।
‘উলচি ফ্রিডম গার্ডিয়ান’ নামে পরিচিত এই ১১ দিন দীর্ঘ গ্রীষ্মকালীন মহড়াটি শুরু হবে সোমবার থেকে। এর লক্ষ্য, উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত বাড়তে থাকা পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির বিপরীতে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানো। ২০১৫ সাল থেকেই এই যৌথ মহড়া চালিয়ে আসছে দেশ দুটি।
এর প্রতিবাদে উত্তর কোরিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া একজোট হয়ে দেশটিতে আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জিওংগি নাম্বু প্রদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলেছে, গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে হ্যাকাররা উত্তর কোরিয়া ভিত্তিক একটি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে যার নাম ‘কিমসুকি’। আর তাদের হ্যাকিং প্রচেষ্টা চলে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ যুদ্ধ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কর্মরত দক্ষিণ কোরীয় ঠিকাদারদের ইমেইল বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে।
“এটা নিশ্চিত যে সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য ফাঁস হয়নি।” --রোববার দেওয়া বিবৃতিতে বলেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে সংঘটিত বিভিন্ন সাইবার আক্রমণে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে উত্তর কোরিয়া।
গবেষকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে ‘স্পিয়ার-ফিশিং’ পদ্ধতিতে পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। এতে তারা ভুক্তভোগীকে এমন লিংক বা অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক করার প্রলোভন দেখায়, যা ক্লিক করলে বিভিন্ন ম্যালওয়্যার লোড হয়।
এই হ্যাকিং প্রচেষ্টা নিয়ে যৌথ তদন্ত চালিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মার্কিন সামরিক বাহিনী। দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ বলেছে, তদন্তে দেখা গেছে, এতে যে আইপি ঠিকানা ব্যবহৃত হয়েছে, তা ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার পারমাণবিক চুল্লিতে করা সাইবার হামলা চালানো আইপি’র সঙ্গে মিলে যায়।
ওই সাইবার আক্রমণের পেছনে উত্তর কোরিয়ার হাত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার দিক থেকে।