Published : 02 May 2025, 12:58 PM
বয়স ১০৩ বছর হলেও মেকআপ করতে এক দিনও ভুল করেন না জোয়ান পার্টরিজ। যুক্তরাজ্যের এক কেয়ার হোমে থেকেও তার রূপচর্চার অভ্যাস এখনও অটুট। আর সেখান থেকেই একটিমাত্র ভিডিওর মাধ্যমে তিনি এখন হয়ে উঠেছেন টিকটক ইনফ্লুয়েন্সার।
ওরচেস্টারশায়ারের রেডডিচ শহরের মিলক্রফট কেয়ার হোমে বসবাসকারী জোয়ানের মেকআপের ভিডিও সম্প্রতি হোমটির টিকটক পেজে পোস্ট করা হয়। সেখানে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতো তিনি নিজের মুখে রুজ দিচ্ছেন। ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, দেখে ফেলেন প্রায় দুই লাখ মানুষ।
জোয়ান বলেন, “ভাবতেই পারিনি এত মানুষ আমাকে দেখবে। আমি হতবাক, একেবারেই অভিভূত।”
মিলক্রফটের ব্যবস্থাপক লিন্ডসে সার্ড বিবিসিকে বলেন, টিকটকের মেকআপ টিউটোরিয়াল দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে চলতি মাসের শুরুতে ভিডিওটি তারা পোস্ট করেন।
তিনি বলেন, “ভিডিওতে যে প্রসাধনী জোয়ান ব্যবহার করছিলেন, তা দেখে একজন দর্শক সেই কোম্পানিকে ট্যাগ করে জানান। এরপর কোম্পানিটি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং জানায়, ভিডিওটি তাদের খুব ভালো লেগেছে। তারা সরাসরি জোয়ানকে একটি মেকআপ সেট পাঠাতে চায়।”
ভিডিওতে লাখ খানেক ভিউ ছাড়াও কয়েকশ মন্তব্যও এসেছে, যেখানে দর্শকরা জোয়ানকে আরও মেকআপ টিউটোরিয়াল দিতে অনুরোধ করেছেন।
জোয়ানের হাতে প্রসাধনীর বাক্স তুলে দিয়ে সার্ড বলেন, “সব মন্তব্যই খুব ইতিবাচক—তরুণী থেকে শুরু করে বয়স্ক নারীরা সবাই বলছেন, আপনি কতটা সুন্দর, আর আপনার ভিডিও তারা কতটা পছন্দ করেছে। আর তারা আরও ভিডিও দেখতে চায়।”
তবে হেসে জোয়ান জবাব দেন, “আরে ধুর! এখন এসব করার বয়স আমার আছে না কি!”
তবে কেয়ার হোম জানিয়েছে, জোয়ান এই কথা মজা করেই বলেছেন। তিনি তার নতুন ইনফ্লুয়েন্সার পরিচয় উপভোগ করছেন তো বটেই, এরইমধ্যে আরও ভিডিও তৈরির পরিকল্পনাও করছেন।
জোয়ানের নাতনি নিকোলা বলেন, “যখন নানু কেয়ার হোমে এলেন, ভেবেছিলাম তিনি কেবল বিশ্রামে থাকবেন। কিন্তু না, তিনি টিকটকে ভাইরাল হয়ে গেলেন! আমি গর্বে আটকে রাখতে পারছি না নিজেকে। তিনি অসাধারণ।”
সৌন্দর্য নিয়ে নিজের ধারণা জানিয়ে জোয়ান বলেন, “আমার কাছে সৌন্দর্য মানেই প্রকৃত স্বাভাবিক থাকা। বয়স যতই হোক, নিজের সম্পর্কে ভালো অনুভব করাটা দারুণ একটা ব্যাপার।”
আর হেসে বলেন, “রুজ না লাগালে তো আমার চলেই না!”