এই সাইবার আক্রমণ কে ঘটিয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত করেনি ইয়ানডেক্স। তবে টুইটারে এই ঘটনার দায় নিয়েছে হ্যাকিং দল ‘অ্যানোনিমাস’।
Published : 04 Sep 2022, 04:08 PM
রাশিয়ার রাইড-হেইলিং অ্যাপ ‘ইয়ানডেক্স ট্যাক্সি’র সঙ্গে রসিকতা করেছে হ্যাকাররা! অ্যাপটির অপব্যবহার করে কয়েক ডজন ট্যাক্সিকে একই সময়ে একই লোকেশনে ডেকে এনে দেশটির রাজধানী মস্কোতে এক বিশাল ট্রাফিক জ্যাম বাধিয়ে দিয়েছে তারা।
১ সেপ্টেম্বর এই সাইবার আক্রমণ ঘটেছে মস্কোর ‘কুতুজভস্কি প্রস্পেক্ট’ এলাকায়, যা এমনিতেই একটি ব্যস্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত।
বৃহস্পতিবার টুইটার ও রেডিটে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে অনেকগুলো ট্যাক্সির লাইন একই গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে।
Someone hacked #YandexTaxi and ordered all available taxis to Kutuzov Prospect in Moscow
— Russian Market (@runews) September 1, 2022
Now there is a huge traffic jam with taxis.
It‘s like James Bond movie. pic.twitter.com/IatuAEtA2i
সড়কে গাড়ির চাপের জন্য আলাদা পরিচিতি আছে মস্কোর। গত বছর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যানজটপূর্ণ শহরের স্বীকৃতি পায় এটি। তবে, শহরের গতানুগতিক ট্রাফিকের সঙ্গে বৃহস্পতিবারের আক্রমণের কোনো সম্পর্ক নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
“১ সেপ্টেম্বর সকালে ইয়ানডেক্স ট্যাক্সি পরিষেবা আক্রমণকারীদের হামলায় পড়ে। ফিলি অঞ্চলে একসঙ্গে একই এলাকায় যাত্রী তোলার ডাক পেয়েছেন কয়েক ডজন চালক।” --এক বিবৃতিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ‘তাস’কে বলেছে ইয়ানডেক্স ট্যাক্সি।
রাশিয়ার ইন্টারনেট জায়ান্ট ইয়ানডেক্স মালিকানাধীন রাইড-হেইলিং সেবাটি আরও জানিয়েছে, এই জ্যামের স্থায়িত্ব ছিল ৪০ মিনিট।
কোম্পানিটি আরও বলছে যে ভবিষ্যতে এই ধরনের আক্রমণ শনাক্ত করার ও বাধা প্রদানের অ্যালগরিদম এরইমধ্যে উন্নত করেছে তারা।
এই প্রসঙ্গে ভার্জ ইয়ানডেক্সের মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর মেলেনি।
এই সাইবার আক্রমণ কে ঘটিয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত করেনি ইয়ানডেক্স। তবে, টুইটারে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে হ্যাকারদের দল ‘অ্যানোনিমাস’।
ইউক্রেইনের ‘আইটি আর্মি’র সঙ্গে কাজ করার কথাও বলেছে তারা।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরুর পরপরই এই দল গঠন করতে সাহায্য করেন দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী মিখাইলো ফেদেরভ।
২০২২ সালের শুরুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘সাইবার যুদ্ধের’ ঘোষণা দিয়েছিল অ্যানোনিমাস। পরবর্তীতে রাশিয়ার টিভি চ্যানেল ‘হাইজ্যাক’ করে এতে যুদ্ধের ভিডিও ফুটেজ চালানোর দাবি করে তারা, যা দেশটিতে ‘অবৈধ’ হিসেবে বিবেচিত।
এর পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার প্রচারণার অংশ হিসেবে দেশটির বিভিন্ন সরকারী সংস্থা ও শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেশনের অধীনে থাকা ব্যপক পরিমাণ ডেটা ও বেশ কয়েক টেরাবাইট ইমেইল ফাঁস করেছে ‘হ্যাক্টিভিস্টরা’।