১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৪৬ শতাংশ বলেছে, ইন্টারনেটে তাদের বেশিরভাগ সময় খরচ হয় ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক ও ইউটিউবের পেছনে।
Published : 16 Dec 2024, 03:39 PM
‘প্রায় একটানা’ ইন্টারনেট অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটায় অর্ধেক আমেরিকান টিনএজার— এমনই উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত থিংক ট্যাংক ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’-এর এক নতুন জরিপ বলছে, ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৪৬ শতাংশ আমেরিকান শিশু স্বীকার করেছে, ইন্টারনেটে তাদের বেশিরভাগ সময় খরচ হয় ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক ও ইউটিউবের পেছনে।
এ জরিপের তথ্য সংগ্রহ চলেছে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে। এক দশক আগের তুলনায় এই সংখ্যা বর্তমানে ২৪ শতাংশ বেশি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
তবে গবেষণা বলছে, গত কয়েক বছরের ফলাফলের সঙ্গে মিল রয়েছে এই গবেষণার। গড়পড়তা প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৯৬ শতাংশ আমেরিকান টিনএজার।
টিনএজাররা বলেছে, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, গেইমিং কনসল ও ট্যাবলেট ব্যবহার করে ওয়েব ব্যবহার করছে তারা। বেশিরভাগ টিনএজাররাই স্মার্টফোন ব্যবহারের কথা জানিয়েছে।
১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের তুলনায় সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের সম্ভাবনা ৭৫ শতাংশ বেশি ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী টিনএজারদের। আর এই সংখ্যার মধ্যে ঘন ঘন বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে প্রায় ৪৩ শতাংশ। এদিকে, বয়সে কিছুটা বড় টিনএজাররাও প্রায় প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটে থাকার কথা জানিয়েছে।
টিনএজাররা বলেছে, অন্য যে কোনো সামাজিক মাধ্যমের চেয়ে ইউটিউব বেশি ব্যবহার করে তারা। এরপর ধারাবাহিকভাবে রয়েছে টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাট। তারা সবচেয়ে কম ব্যবহার করে ফেইসবুক, এক্স, হোয়াটসঅ্যাপ, রেডিট ও থ্রেডস-এর মতো সামাজিক মাধ্যম।
এদিকে, টিকটক ব্যবহার করে ৭৩ শতাংশ ডেমোক্র্যাট টিনএজাররা, যেখানে কেবল ৫২ শতাংশ রিপাবলিকান টিনএজার প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করে হিস্পানিক ও কৃষ্ণাঙ্গ টিনএজাররা। জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি হিস্পানিক টিনএজার চব্বিশ ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করে। অন্যদিকে, চব্বিশ ঘণ্টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ৩৭ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ।
গবেষণাটি এমন সময় প্রকাশ পেল যখন টিনএজারদের জন্য দেশটির দ্বিতীয় জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
টিকটকের মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্সকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে অ্যাপটি থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটি। অন্যথায় জাতীয় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে সামাজিক মাধ্যম অ্যাপটি।