মাস্ক পরা থাকলেও মানুষকে চিহ্নিত করতে পারবে এমন ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে জাপানের এনইসি কর্পোরেশন। করোনাভাইরাস মহামারী বাস্তবতায় মাস্ক পরার ব্যাপারটিও হয়ে উঠেছে নতুন স্বাভাবিক।
Published : 07 Jan 2021, 04:04 PM
এনইসি অবশ্য আগে থেকেই মাস্ক পরা মানুষকে চিহ্নিত করতে পারবে এমন ফেইশল প্রযুক্তি তৈরিতে কাজ করছিল। করোনাভাইরাস বাস্তবতায় এসে শুধু সে কাজের উন্নয়নের গতি বেড়েছে। জাপানের বহু নাগরিক আগে থেকেই মাস্ক ব্যবহার করেন।
“গত বছর জরুরি অবস্থা দীর্ঘ সময় অব্যাহত থাকার কারণে করোনাভাইরাস মহামারী বাস্তবতায় এর প্রয়োজন অনেক বেড়েছিল। আর তাই আমরা এখন এ প্রযুক্তি বাজারে নিয়ে এসেছি।” – বলেছেন এনইসি এর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক শিনইয়া তাকাশিমা।
ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তিটির প্রক্রিয়া মানুষ মাস্ক পরা থাকলে তা বুঝে নিতে পারে এবং মুখের যে অংশগুলো উন্মুক্ত রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে। তবে, এভাবে পরিচয় শনাক্তের জন্য আগে থেকেই মাস্ক ছাড়া একটি ছবি এই শনাক্তকরণ ব্যবস্থায় দিয়ে রাখতে হবে।
এনইসি বলছে, পরিচয় শনাক্তে এক সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে এবং ৯৯.৯ শতাংশের বেশি যথার্থভাবে যাচাই সম্ভব হয়।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, এনইসি’র ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তির প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন কর্মস্থল এবং অন্যান্য স্থাপনার নিরাপত্তা ফটকে ব্যবহার করা যাবে।
পুরো প্রক্রিয়াটির দাম জানাতে রাজি হয়নি এনইসি। তবে, নিজেদের বায়োমেট্রিকস ও ভিডিও বিশ্লেষণী ব্যবসায় থেকে ২০২১ অর্থবছরে বিক্রি বাবদ ৯৭ কোটি ডলার তুলতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তিটি ওই ব্যবসাগুলোর মধ্যেই রয়েছে।
তাকাশিমা জানিয়েছেন, অক্টোবর থেকে ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তিটির বিক্রি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে লুফটানসা এবং সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস তাদের সেবা নিয়েছে।
তাকাশিমার ভাষ্যে, ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তির মানে হচ্ছে কোনো নিরাপত্তা কার্ড ব্যবহার না করা, যা হারাতে বা চুরি হতে পারে এবং স্পর্শ থেকে জীবাণু সংক্রমণ রোধে সহায়তা করা।
“স্পর্শহীন যাচাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস প্রভাবের কারণে। আগামীতে আমরা সুরক্ষা ও মানসিক শান্তির জন্য দৃঢ় ভূমিকা রাখার আশা করছি।” – বলেছেন তাকাশিমা।