আইয়ুব খানের দাবি, পেইজটি হ্যাকড হওয়ায় তার ৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
Published : 09 May 2024, 01:19 AM
ফেইসবুক পেইজ ‘হ্যাকড’ হওয়ায় হ্যাকারদের বিরুদ্ধে আদালতে ক্ষতিপূরণ মামলা করতে এসে ফেঁসে গেছেন এক ব্যক্তি।
চার বছর আগে ফেইসবুক পেইজটি খোলা হয়েছিল আলোচিত সাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নামে। ‘ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম’ নামে ওই পেইজটি খুলেছিলেন নরসিংদীর রায়পুরা থানার মাহমুদাবাদ এলাকার মৃত ওসমান গনির ছেলে আইয়ুব খান; তিনি নিজেই সেটি চালাতেন।
পেইজটি হ্যাকারের দখলে চলে যাওয়ায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে বুধবার মামলা করতে আসেন আইয়ুব। জবানবন্দি দেওয়ার সময় ঘুরে যায় ঘটনার মোড়।
আইয়ুব খানের কাছে বিচারক জানতে চান, “আপনি কি ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম?” জবাবে তিনি বলেন, “না”।
তখন বিচারক প্রশ্ন করেন, “তাহলে কেন আপনি ‘ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম’-এর নামে পেইজ খুললেন?”
জবাব না দিতে পেরে আমতা আমতা করতে থাকেন আইয়ুব খান।
তখন একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নামে পেইজ খুলে প্রতারণার অভিযোগে আইয়ুব খানকে আসামির কাঠগড়ায় ঢোকানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারক। আসামির কাঠগড়ায় তাকে দুই ঘণ্টা রাখা হয়।
তারপর শুরু হয় জবানবন্দি গ্রহণ। আইয়ুব খান দাবি করেন, তার চালানো ফেইসবুক পেইজটি হ্যাকড হয়েছে। তিনি এর বিচার চান।
সংশ্লিষ্ট আদালতের ভারপ্রাপ্ত পেশকার জুয়েল মিয়া জানান, জবানবন্দি নেওয়ার পর এ মামলার আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
আদালতে আইয়ুব খানের অভিযোগ ছিল, ২০২০ সালের ৪ মে ‘ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম’ নামে একটি প্রফেশনাল ও পাবলিক ফেইসবুক পেইজ খোলেন তিনি। পেইজটিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।
অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট ‘সেলিব্রেটিং জিন রডেনবেরি: স্টার ট্রেক'স ব্রিজ অ্যান্ড নাসা’নামে একটি পেইজ স্বেচ্ছায় এ পেইজে যুক্ত হয়। পরে সেটি ‘ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম’ পেইজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
আইয়ুব খানের দাবি, পেইজটি হ্যাকড হওয়ায় তার ৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি আদালতের কাছে ক্ষতিপূরণ ও বিচার চেয়ে মামলার আবেদন করেন।
মো. সারওয়ার আলম ঢাকা জেলার সাবেক নির্বাহী মেজিস্ট্রেট। সে সময় র্যাবের ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তিনি আলোচনায় আসেন।
২০২০ সালে সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের বাড়িতে অভিযানেও নেতৃত্ব দেন সারওয়ার আলম। হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে দেড় বছরের সাজাও দেন তিনি।
বর্তমানে তিনি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পদে কর্মরত।