সারিয়াকান্দিতে বিজয়ী হয়েছেন সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল আর সোনাতলায় জয় পেয়েছেন ভাই মিনহাদুজ্জামান লীটন।
Published : 09 May 2024, 01:13 AM
বগুড়া-১ সংসদীয় আসনটি সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত। উপজেলা দুটিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ওই আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে ও ভাই।
বুধবার উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রথম ধাপে বগুড়ার গাবতলী, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলায় ভোট হয়েছে। এর মধ্যে সারিয়াকান্দিতে বিজয়ী হয়েছেন সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল আর সোনাতলায় জয় পেয়েছেন ভাই মিনহাদুজ্জামান লীটন।
বুধবার রাত ১০টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান ভোটের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফলাফলে জানান হয়, সারিয়াকান্দি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীকে ৩১ হাজার ৯৫ ভোটে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন সজল। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২৪৮ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম মন্টু পেয়েছেন ৬ হাজার ১৫৩ ভোট।
এই উপজেলায় ১৮ হাজার ৯৭৩ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন লিখন মিয়া। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের ইউনুস আলী পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৭।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন মোছা কুলসুম পারভিন, পেয়েছেন ২৬ হাজার ২৩৭ ভোট।
এই উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৮। ৭১ টি ভোটকেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছিল ৪৭ হাজার ৩৫২টি। বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৫৯৩টি ভোট।
এদিকে সোনাতলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে আবারও বিজয়ী হয়েছেন আইনজীবী মিনহাদুজ্জামান লীটন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বিগত সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জাকির হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৪৫ টি।
এ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ফিদা হাসান খান টিটো।
আর সেলাই মেশিন প্রতীক নিয়ে ১৪ হাজার ৮০৬ ভোটে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন মোছা. ওয়াছিয়া বেগম। তার নিকটতম প্রতিদ্ব্ন্দ্বী মোছা. ইশরাত আকতার পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৫০ ভোট।
এই উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩৩২ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৮ হাজার ২৭৮ জন।