মাস্কের বিরুদ্ধে মামলায় টুইটারের সাবেক সিইও, শীর্ষ কর্মীরা

তারা অভিযোগ করেছেন, পদত্যাগ করে সুবিধা সংগ্রহ করার আগেই, জাল ‘অবসান নীতি’ তৈরি করে ছাঁটাই ভাতা না দেওয়ার পরকল্পনা করেছিলেন মাস্ক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2024, 11:48 AM
Updated : 5 March 2024, 11:48 AM

সামাজিক মাধ্যম টুইটারের (বর্তমানে ‘এক্স’) সাবেক শীর্ষ নির্বাহীরা কোম্পানির মালিক ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মাস্কের কাছে ১২ কোটি ৮০ লাখ ডলার ছাঁটাই ভাতা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।

মাস্ক সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিটির দায়িত্ব নেওয়ার সময়ে তাদের “কারণ ছাড়াই ছাঁটাই করা হয়েছিল” বলে অভিযোগ করেছেন টুইটারের এই সাবেক কর্মীরা। অভিযোগ আনা ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন, কোম্পানির সাবেক বস পারাগ আগরাওয়াল, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার নেড সেগাল, চিফ লিগ্যাল কাউন্সেল ভিজায়া গাড্ডে ও জেনারেল কাউন্সেল শন এজেট।

২০২২ সালে মাস্ক চার হাজার ৪০০ কোটি ডলার মূল্যে টুইটার কিনে নিয়েছিলেন। এর পরেই, ব্যাপক ছাঁটাই কার্যক্রমের মধ্যে সাবেক এই চারজন নির্বাহীকেও ছাঁটাই করা হয়।

তারা অভিযোগ করেছেন, পদত্যাগ করে সুবিধা সংগ্রহ করার আগেই, জাল ‘অবসান নীতি’ তৈরি করে ছাঁটাই ভাতা না দেওয়ার পরকল্পনা করেছিলেন মাস্ক।

‘গুরুতর অবহেলা ও ইচ্ছাকৃত অসদাচরণের’ কারণে প্রাক্তন নির্বাহীদের বরখাস্ত করা হলেও ‘এ দাবির সমর্থনে কোনো তথ্যই উল্লেখ করা হয়নি’ বলেও অভিযোগ উঠেছে মামলায়। অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতির জন্য এটি এক্সের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৩০তম মামলা বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইনডিপেন্ডেন্ট।

“মামলার বাদীদের ছাঁটাই ভাতা না দিতে চাওয়ায় কারণ ছাড়াই বরখাস্ত করেছিলেন মাস্ক। এরপর একটি ভুয়া কারণ দেখিয়ে ও এ সিদ্ধান্ত বহাল রাখার জন্য নিজস্ব বিভিন্ন কোম্পানির কর্মচারী নিয়োগ করেছিলেন।” – মার্কিন অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় সোমবার দায়ের করা এ মামলায় অভিযোগ করেছেন সাবেক নির্বাহীরা।

“মাস্কের নিয়ন্ত্রণে টুইটার ঠাট্টায় পরিণত হয়েছে, যা কর্মচারী, ভবনমালিক, সরবরাহকারী ও অন্যান্যদের বিপাকে ফেলছে।” – বলা হয়েছে মামলার নথিতে।

“মাস্ক তার পাওনা পরিশোধ করেন না। বিশ্বাস করেন, এসব নিয়ম তার জন্য প্রযোজ্য নয়। আর তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেই সম্পদ ও ক্ষমতা ব্যবহার করেন।”

টুইটার সাবেকদের মতে, মাস্কের অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতির এ অভ্যাস “টুইটারের প্রাক্তন কর্মীদের প্রাপ্য সুবিধা ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করার বৃহত্তর অভ্যাসের অংশ।”

এ মামলার বিষয়ে এখনও কোনো বিবৃতি দেননি মাস্ক। পাশাপাশি, এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এক্সের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইনডিপেন্ডেন্ট।