এআই মডেল বিকাশ করছে এমন বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর সরকারি তদারকির আহ্বান জানান তিনি। তবে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ উদ্ভাবনকে দমনও করতে পারে।
Published : 13 Feb 2025, 05:03 PM
‘ন্যায় নীতির বালাই নেই এমন বিভিন্ন রাষ্ট্র’ বা সন্ত্রাসীরা ‘নিরপরাধ মানুষের ক্ষতি করতে’ এআই ব্যবহার করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন গুগলের সাবেক প্রধান।
সম্প্রতি বিবিসির টুডে প্রোগ্রামের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন বলেন মার্কিন টেক জায়ান্টটির সাবেক প্রধান নির্বাহী এরিক স্মিড। তিনি বলেছেন, “এআই নিয়ে আমার আসল ভয়টা আসলে যেগুলো নিয়ে বেশিরভাগ মানুষ কথা বলছেন সেগুলো নিয়ে নয়। এআই নিয়ে আমার ভয় এর চরম ঝুঁকির দিকটি নিয়ে।”
২০০১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গুগলের জ্যেষ্ঠ পদে থাকা এ প্রযুক্তি বিলিয়নেয়ার বলেছেন, “উত্তর কোরিয়া, ইরান বা রাশিয়াও জৈবিক অস্ত্র তৈরিতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার ও অপব্যবহার করতে পারে।”
এআই মডেল বিকাশ করছে এমন বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর সরকারি তদারকির আহ্বান জানান তিনি। তবে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ উদ্ভাবনকে দমন করতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন স্মিড।
উন্নত এআই সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এমন বিভিন্ন মাইক্রোচিপের ওপর মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপের সঙ্গেও একমত পোষণ করেছেন তিনি।
ক্ষমতা ছাড়ার আগে এআই গবেষণায় প্রতিপক্ষের অগ্রগতি ধীর করতে বিশ্বের ১৮টি দেশ ছাড়া বাকি সব দেশে মাইক্রোচিপ রপ্তানি সীমিত করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
“উত্তর কোরিয়া, ইরান বা রাশিয়ার কথা চিন্তা করুন, যাদের অশুভ সাধনের লক্ষ্য রয়েছে। এ প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির কারণে এসব দেশ সহজেই এআইয়ের অপব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি করতে পারে,” বলেছেন স্মিড।
তিনি আরও বলেন, ভুল হাতে পড়লে এআই সিস্টেমকে অস্ত্র তৈরির কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
“আমি সবসময় ওসামা বিন লাদেন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ এখানে সত্যিকারের কিছু খারাপ ব্যক্তি আমাদের আধুনিক জীবনের কিছু দিক দখলে নিয়ে নেয় এবং নিরীহ মানুষের ক্ষতি করার জন্য এর ব্যবহার করে।”
২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন লাদেন, যেখানে আল-কায়েদা সন্ত্রাসীরা আমেরিকার মাটিতে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করার জন্য বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল।
এআই বিকাশের ওপর সরকারি তদারকি ও এই খাতে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রস্তাব করেন স্মিড।
“সত্যিটা হচ্ছে এআই ও এর ভবিষ্যৎ মূলত বিভিন্ন কোম্পানির হাতেই তৈরি হবে। এটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ যে, সরকারের উচিত আমরা কী করছি তা বোঝা ও আমাদের ওপর নজর রাখা,” বলেন তিনি।
ইউরোপে ব্যাপকহারে এআই নিয়ন্ত্রণের ফলাফল হচ্ছে “সেখানে এআই বিপ্লব হবে না, যা আমার মতে বিদ্যুতের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লব”।
বড় বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি “১৫ বছর আগেও এআইয়ের সম্ভাবনা বুঝতে পারত না” তবে এখন বুঝতে পারে, বলেন তিনি।