Published : 04 May 2025, 09:04 PM
চিকিৎসা নিতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করে ‘গ্রিন চ্যানেল’ চালু করেছে ঢাকায় চীনা দূতাবাস; যেখানে জরুরি রোগীদেরকে আবেদন করার দিনই ভিসা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভিসা সহজ করার অংশ হিসেবে আবেদনকারীদের নথিপত্রের যাচাই পদ্ধতি এবং ভিসা সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হয়েছে।
রোববার ঢাকায় চীনা দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, গত মার্চে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের সময় দুই দেশের নেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কর্মী বিনিময় সহজ করার বিষয়ে যে ঐকমত্য হয়েছিল, তারই অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে এই পদক্ষেপ।
নতুন এই ব্যবস্থার আওতায় বৈধ লাইসেন্সধারী স্থানীয় বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সিগুলো এখন চীনে চিকিৎসার জন্য ভ্রমণকারীদের ব্যাংক ডিপোজিট সার্টিফিকেট এবং রক্তের সম্পর্ক প্রমাণস্বরূপ গ্যারান্টিপত্র ইস্যু করতে পারবে।
এর ফলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত সার্টিফিকেট দাখিল করার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি মিলল ভিসা প্রার্থীদের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অগ্রাধিকারভিত্তিতে সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে। ভিসা সেন্টারে চিকিৎসা ভিসার জন্য একটি বিশেষ কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যাতে আবেদনকারীরা কোনো অপেক্ষা ছাড়াই তাদের কাগজপত্র জমা দিতে পারেন।
“জরুরি চিকিৎসার ক্ষেত্রে একইদিনে ভিসা ইস্যু করার জন্য একটি বিশেষ ‘গ্রিন চ্যানেল’-এর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব রোগীর চিকিৎসা ভিসার সাক্ষাৎকারের জন্য পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে, তাদেরকে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা না করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাক্ষাৎকারের সুযোগ দেওয়া হবে।
“তবে কোনও রোগী যদি শারীরিকভাবে উপস্থিতি হওয়ার অনুপযুক্ত হন, সেক্ষেত্রে ট্রাভেল এজেন্সির গ্যারান্টিপত্রের মাধ্যমে অনলাইন সাক্ষাৎকারেরও সুযোগ দেওয়া হবে।”
এছাড়া চিকিৎসা ভিসা সংক্রান্ত অনুসন্ধানের জন্য দূতাবাস এবং বনানীর ভিসা আবেদন কেন্দ্রে পৃথক হটলাইন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
দূতাবাসের হটলাইন নম্বর ০২২২২২৬০১০৩ এবং ০১৭০৮৪৬৪৮০৯ এবং আবেদনকেন্দ্রের হটলাইন- ০২২২৬৬০৩২৬১। আর হোয়াটসঅ্যাপ সেবা গ্রুপের নম্বর- ০১৮৮৫০৪১৩৬৪।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দূতাবাসের এই উদ্যোগ বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য চীনে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ ও দ্রুত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং দুই দেশের মধ্যে মানুষের চলাচল আরও সহজ করাই এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য।”