Published : 05 May 2025, 12:59 AM
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর উপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
মিছিল থেকে তারা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
রোববার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হল, প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন হয়ে রাজু ভাস্কর্যে এসে তো শেষ হয়।
এদিন সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এনসিপি নেতা হাসনাতের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় একটি অনুষ্ঠান শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন।
চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তার গাড়ি বহর যানজটে আটকে থাকাবস্থায় চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে এসে তার গাড়িতে হামলা করে। এতে গাড়ির গ্লাস ও উইন্ডশিল্ড ভেঙে গেলে তিনি হাতে আঘাত পান।
এ হামলার প্রতিবাদে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিলে অংশ নেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাকর্মীরা। এ হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের জবাবদিহিও দাবি করেন তারা।
মিছিল শেষে সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম বলেন, হাসনাতের উপর যে হামলা হয়েছে, তা জুলাই অভ্যুত্থানের উপর হামলা। অভ্যুত্থানের নয় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও এই সরকার জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র দিতে পারেনি।
"জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়াদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। শুধু তাই নয়, জুলাইয়ে যেসব শহীদ রক্ত দিয়েছিল, সরকার তাদের রক্তের মর্যাদা দিতে পারেনি।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে ছাত্রদের হাই কোর্ট দেখাবেন না। আপনারা কিসের ভয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করছেন না? যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারেন, তাহলে আমরা আপনাদের উপর আমাদের সমর্থন সরিয়ে নেব।“
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজোয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, “আপনারা যদি অতি দ্রুত আওয়ামী নিষিদ্ধ না করেন এবং জুলাই ঘোষণাপত্র না দেন, তাহলে ছাত্র-জনতা আবারও রাজপথে নেমে আসবে।
"বাংলাদেশের প্রশাসন থেকে শুরু করে সকল স্থানে একদল কুচক্রী টাকার বিনিময়ে আওয়ামী কর্মীদের বিভিন্ন পদে বহাল রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক আওয়ামী লীগের বৈধতা দিয়েছিল, তারা এখনো ক্ষমতায় বহাল আছে।”