গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা বলেছিল, সন্ত্রাসবিরোধী তদন্তে অংশ নেওয়া পাঁচটি মামলার মধ্যে একটিতে দেশটির তরুণদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
Published : 24 Feb 2025, 02:26 PM
শিশু নির্যাতন ও সন্ত্রাস বিষয়ে অ্যাপটির গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার করা প্রশ্নের উত্তর দিতে দেরি করেছে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম। এজন্য অ্যাপটিকে ছয় লাখ ৪০ হাজার ডলার জরিমানা করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
২০২৪ সালের মার্চ মাসে ইউটিউব, এক্স, ফেইসবুক, টেলিগ্রাম ও রেডডিটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কাছ থেকে শিশু নির্যাতন ও সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে তাদের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে জানতে চেয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ‘ইসেইফটি কমিশন’।
ওই সময় লাইভস্ট্রিমিং ফিচার, অ্যালগরিদম ও রেকমেন্ডশন সিস্টেম ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা যে অনলাইনে চরমপন্থীদের সংস্পর্শে আসছে তা থামাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্যও প্লাটফর্মগুলোকে দোষারোপ করেছিল কমিশন।
শিশু যৌন নিপীড়নের কনটেন্ট ঠেকাতে টেলিগ্রাম ও রেডিট কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সে সম্পর্কে প্লাটফর্মগুলোর কাছে জানতে চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এজন্য তাদের ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেও অক্টোবরে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে টেলিগ্রাম।
প্রতিক্রিয়া জানানোর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় সোমবার মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটিকে কমিশন ১০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা করে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
‘ইসেইফটি কমিশন’-এর কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সময়মত প্রতিক্রিয়া জানানো অস্ট্রেলিয়ায় কারও দয়া দাক্ষিণ্যের বিষয় নয়। আর সরকারের এমন পদক্ষেপ অস্ট্রেলিয়ান আইন মেনে চলার জন্য সব ধরনের কোম্পানিকে বাধ্য করার বিষয়টিকে আরও জোরদার করবে।”
গ্রান্ট বলেন, তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে টেলিগ্রামের এ দেরিতে জবাব দেওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ায় অনলাইন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে বাধার মুখে পড়েছে কমিশন।
এদিকে, টেলিগ্রাম বলেছে, গত বছর কমিশনের সব প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ জবাব দিয়েছে তারা। এক ইমেইল বার্তায় মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি বলেছে, “অস্ট্রেলিয়ার অন্যায্য এই জরিমানার বিরুদ্ধে আপিল করতে চাই আমরা।”
গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা বলেছিল, সন্ত্রাসবিরোধী তদন্তে অংশ নেওয়া পাঁচটি মামলার মধ্যে একটিতে দেশটির তরুণদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
রয়টার্স লিখেছে, ফ্রান্সে অবৈধ কার্যকলাপের জন্য অ্যাপটি ব্যবহারের অভিযোগে অগাস্টে টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভকে তদন্তের আওতায় আনার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে তদন্তের মুখে পড়েছে মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি।
অবশ্য এ অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন জামিনে থাকা দুরভ।
গ্রান্ট বলেছেন, বড় প্রযুক্তি কোম্পানিকে অবশ্যই স্বচ্ছ হতে হবে ও তাদের বিভিন্ন পরিষেবার অপব্যবহার ঠেকাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ অনলাইনে চরমপন্থী কনটেন্টের মাধ্যমে তৈরি হুমকি ঝুঁকি তৈরি করছে।