কুক বলেন, কোম্পানিটি “জেনারেটিভ এআই’কে যুগান্তকারী সম্ভাবনা হিসেবে দেখে। তাই এখন আমরা এ খাতে বড় বিনিয়োগ করছি।”
Published : 01 Mar 2024, 11:58 AM
জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে এ বছরের শেষ নাগাদ নিজস্ব পরিকল্পনার কথা জানাবে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল।
গেল বুধবার কোম্পানির শেয়ারমালিকদের নিয়ে আয়োজিত বার্ষিক বৈঠকে এ বিষয়টি জানান আইফোন নির্মাতা এ কোম্পানির সিইও টিম কুক।
তিনি বলেন, “অ্যাপল জেনারেটিভ এআইকে যুগান্তকারী সম্ভাবনা হিসেবে দেখে। তাই এখন আমরা এ খাতে বড় বিনিয়োগ করছি। আমরা বিশ্বাস করি, এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন রূপান্তরযোগ্য সুবিধা চালু করা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে উৎপাদনশীলতা, বিভিন্ন সমস্যার সমাধানসহ অনেক কিছুই।”
নিজেদের পণ্যে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি চালু করার বিষয়ে মাইক্রোসফট ও গুগলের তুলনায় কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে অ্যাপল।
বুধবারের বৈঠকে কুক যুক্তি দেখান, অ্যাপলের পণ্যে এরইমধ্যে এআই প্রযুক্তি চালু হয়েছে, যা এ মুহূর্তে পর্দার আড়ালে। তবে বছরের শেষ নাগাদ কোম্পানির এআই ফিচার সম্পর্কে আরও স্পষ্ট খবর পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে উঠে আসে, বিভিন্ন অ্যাপল ডিভাইসে সংরক্ষিত ডেটা খোঁজার সক্ষমতা উন্নত করতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে অ্যাপল।
“প্রতিটি ম্যাক ডিভাইসেই অ্যাপল সিলিকনের মত চমকপ্রদ এআই মেশিন আছে। আর সত্যি বলতে, এখনকার বাজারে এআইয়ের জন্য এর চেয়ে ভালো কম্পিউটার নেই,” বলেন কুক।
বুধবারের বৈঠকে কোম্পানির ব্যবসায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এর জন্য নৈতিক কোনো নির্দেশিকা থাকবে কি না, তা নিয়ে তথ্য প্রকাশের এক প্রস্তাব নাকচ করে দেন অ্যাপলের শেয়ারমালিকরা।
বৈঠকে প্রস্তাবনাটি পাস না হলেও এর পক্ষে ভোট পড়েছিল সাড়ে ৩৭ শতাংশ। আর এটি উত্থাপন করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম লেবার ইউনিয়ন ফেডারেশন ‘এএফএল-সিআইও’।
এর আগে অন্যান্য প্রযুক্তি কোম্পানিকেও এমন এআই নির্দেশিকা চালু করার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল সংগঠনটি।
এএফএল-সিআইও’র কর্পোরেশন ও ক্যাপিটাল মার্কেট বিভাগের উপ পরিচালক ব্র্যান্ডন রিস এক বিবৃতিতে বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে নিজস্ব নৈতিক নির্দেশিকা প্রকাশে অন্যান্য শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানির তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে আছে অ্যাপল।
“আমরা আশা করছি, এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিনিয়োগকারী ও শেয়ারমালিকদের কাছে আরও তথ্য প্রকাশ করবে অ্যাপল।”
এদিকে এপ্রিলে হতে যাওয়া ওয়াল্ট ডিজনির বার্ষিক বৈঠকেও একই ধরনের প্রস্তাব দিতে পারে সংগঠনটি।
অ্যাপলের বৈঠকে নিজস্ব ব্যবসায়িক কার্যক্রমে এআই প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোম্পানি যে নৈতিক নির্দেশিকা গ্রহণ করেছে, সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে এএফএল-সিআইও।
এ প্রস্তাবনার বিপরীতে অ্যাপল বলেছে, এখনই কোম্পানির পরিকল্পনা প্রকাশ করলে উদীয়মান এআই খাতের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি তাদের কৌশল নিজেদের কাজে লাগাতে পারে।