দুই দলেরই জয় একটি করে। আরেকটি ম্যাচ ড্র করায় শেষ ষোলোয় ওঠার পথে কিছুটা এগিয়ে স্পেন। লড়াইয়ে ভালোভাবেই আছে জাপানও। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দল দুটি। যাদের এর আগে দেখা হয়েছিল স্রেফ একবার, তাও ২১ বছর আগে।
‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।
এই লড়াইয়ের আগে স্পেন ও জাপানের আরও কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো।
* এখন পর্যন্ত একবার বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে স্পেন। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা আসরের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার গোলে হারায় স্প্যানিশরা।
* এছাড়াও স্পেনের অর্জনের ঝুলিতে আছে ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি।
* জাপান এখন পর্যন্ত নকআউট রাউন্ডের প্রথম ধাপ পেরুতে পারেনি। শেষ ষোলোয় তিনবার খেলেছে এশিয়ার দেশটি। সবশেষ রাশিয়া আসরেও গ্রুপ পর্ব পার করেছিল তারা।
* জাপানের বিপক্ষে ড্র করলেই পরের ধাপে চলে যাবে স্পেন। আর জিতলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। হারলেও সুযোগ রয়েছে তাদের নকআউট পর্বে খেলার। তবে পক্ষে আসতে নানা সমীকরণ।
* গ্রুপ টেবিলে এখন দুই নম্বরে জাপান। জিতলেই পরের রাউন্ডে জায়গা করে নেবে তারা। স্পেনের সঙ্গে ড্র করলেও থাকবে সুযোগ, তবে তা নির্ভর করবে গ্রুপের অন্য ম্যাচের ফল ও বেশ কিছু সমীকরণের ওপর।
* বিশ্বকাপের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৮ গোল করা দল স্পেন। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা কোস্টা রিকাকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৭-০ গোলে।
* এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আটটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে জেতে স্পেন। একটি ম্যাচ ড্র করে গ্রিসের বিপক্ষে (১-১) এবং অন্য ম্যাচটি হারে সুইডেনের কাছে (২-১ গোলে)।
* ১৯৩৪ সালে বিশ্ব মঞ্চে অভিষেকেই কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলে স্পেন। সব মিলিয়ে ষোড়শ বিশ্বকাপে খেলছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
* ২০০৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০০৬ সালের জুনের মধ্যে স্পেন রেকর্ড সংখ্যক ৩৫ ম্যাচে অপরাজিত ছিল স্পেন। এর মধ্যে জয় ছিল টানা ১৫ ম্যাচে।
* ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপে অভিষেক হয় জাপানের। পরের ছয়টি আসরেই বাছাই পর্ব পেরিয়ে বিশ্ব মঞ্চে খেলছে তারা।
* জাপানের গোলরক্ষক কাওয়াশিমা এইজি ও ডিফেন্ডার নাগাটোমো ইউকোর এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ। তাদের আগে দেশটির হয়ে চারটি বিশ্বকাপ খেলার কীর্তি রয়েছে সাবেক দুই গোলরক্ষক ইয়োশিকাতসু কাওয়াগুচি ও সের্জিও নারাজাকির।
* জাপান ও স্পেন এর আগে স্রেফ একবার মুখোমুখি হয়েছে, দুই দশক আগে। ২০০১ সালের ওই প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছিল স্প্যানিশরা।