বর্ণবাদের আঁধারে আলো ফোটানোর লড়াই চালিয়ে যাবেন ভিনিসিউস

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যেন বর্ণবাদের কালো থাবার শিকার হতে না হয়, সেজন্য লড়াইয়ে আরও ভুগতে প্রস্তুত রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2023, 06:56 AM
Updated : 23 May 2023, 06:56 AM

রিও দে জেনেইরোর ‘ক্রাইস্ট দা রিডিমার’ হঠাৎ ছেয়ে গেল আধাঁরে। ব্রাজিলের সন্তান ভিনিসিউস জুনিয়রের প্রতি বর্ণবাদী আচরণের প্রতিবাদ ও তার প্রতি সংহতি জানাতে সোমবার সন্ধ্যায় এক ঘণ্টা অন্ধকারে রইল বিখ্যাত এই ভাস্কর্য। এই উদ্যোগ দারুণভাবে স্পর্শ করল ভিনিসিউসকেও। রিয়াল মাদ্রিদের ২২ বছর বয়সী তারকা শোনালেন প্রত্যয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বর্ণবাদের আঁধার সরিয়ে আলো বয়ে আনার লড়াইয়ে হাল ছাড়বেন না তিনি।

লা লিগায় শনিবার ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বর্ণবাদের শিকার হওয়ার পর বিশ্বের নানা জায়গা থেকে বিভিন্ন আঙিনার তারকারা ভিনিসিউসের পাশে দাঁড়ান। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা বিবৃতি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান ফিফা ও স্পেনের ফুটবল কর্তৃপক্ষকে। সংহতি জানানোর অংশ হিসেবেই রিও দে জেনেইরোয় সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্রাইস্ট দা রিডিমারের আলো।

ভাস্কর্যটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা জানায়, ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তারা এই পদক্ষেপ নেন। বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াইয়ের অংশ হিসেবে, ভিনিসিউসের প্রতি সংহতি জানাতে এবং বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদের শিকার সবার পাশে দাঁড়াতে’ তাদের এই উদ্যোগ।

ভিনিসিউস পরে ভাস্কর্যের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলেন, এই আঁধারেই তিনি রোশনাই ছড়িয়ে দিতে চান।

“কালো এবং আকর্ষণীয়। ক্রাইস্ট দা রিডিমার ছিল ঠিক এরকম। সংহতির এই পদক্ষেপ আমাকে আন্দোলিত করেছে। তবে সবকিছুর ওপরে আমার চাওয়া, অনুপ্রাণিত করা এবং আমাদের লড়াইয়ে আরও আলো বয়ে আনা।”

ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে এই ম্যাচেই শুধু নয়, আগেও নানা সময়ে বিভিন্ন মাঠে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন ভিনিসিউস। তখনও তিনি ছিলেন প্রতিবাদে সোচ্চার। প্রতিবারই পাশে পেয়েছেন অনেককেই। তাই লড়াইয়ের শক্তিও পাচ্ছেন তিনি। ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বর্ণবাদের শিকার হয়ে তার চোখ দিয়ে পানি পড়তেও দেখা গেছে। তবে জোর দিয়েই জানিয়ে দিলেন, তিনি ভেঙে পড়েননি।

“গত কয়েক মাসে ব্রাজিল বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে আমার প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থনের যে স্রোত দেখেছি, তাতে আমি মুগ্ধ। আমি একদম পরিষ্কারভাবে জানি যে, কে কেমন। আমার প্রতি ভরসা রাখুন, কারণ ভালোদের সংখ্যাই বেশি এবং লড়াইয়ে আমি হাল ছাড়ব না।”

“আমার জীবনে একটি লক্ষ্য আছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যেন এরকম অবস্থার মধ্যে না যেতে হয়, সেজন্য লড়াইয়ে আমাকে আরও অনেক ভুগতে হলেও আমি তৈরি ও প্রস্তুত।”