প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে অবস্থানে থেকে লিগ শেষ করার শঙ্কায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, তবে আপাতত সেটিকে পাত্তা দিতে চান না কোচ।
Published : 14 Apr 2024, 02:30 PM
প্রশ্নটি যখন হচ্ছিল, তখনই উসখুস করছিলেন এরিক টেন হাগ। প্রশ্ন শেষ হতেই তিনি উঠে গেলেন। যেতে যেতে বলে গেলেন, এই প্রশ্ন তিনি নিতে চান না। প্রসঙ্গটিকে গুরুত্বপূর্ণই মনে করেন না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনের ঘটনা এটি। শনিবার ম্যাচটিতে দুই দফা পিছিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত ড্র করতে পারে টেন হাগের দল।
তবে এই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট পাওয়ার স্বস্তি আসলে সাময়িক। পয়েন্ট তালিকার অস্বস্তি যে আরও বড়! সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ সাত ম্যাচের স্রেফ একটিতে জয়ের দেখা পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শনিবার আরও একটি ম্যাচ জয়বিহীন থাকার পর পয়েন্ট তালিকায় তারা নেমে গেছে আরও এক ধাপ।
৩২ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা আছে সপ্তম স্থানে। প্রিমিয়ার লিগের সফলতম ক্লাবটি এখন শঙ্কায় আছে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে মৌসুমের। প্রিমিয়ার লিগে কখনোই অষ্টম বা এর নিচে থেকে লিগ শেষ করেনি তারা।
সংবাদ সম্মেলনে এই শঙ্কা নিয়ে প্রশ্ন করেন একজন। প্রশ্ন শেস হতে না হতেই চেয়ার ছেড়ে উঠতে উঠতে এরিক টেন হাগ বলেন, “আমার মন্তব্য নেই…আমি এই প্রশ্ন নিচ্ছি না… এখন এটি গুরুত্বপূর্ণ নয়…।” বলতে বলতে চলে যান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তার আগের কথাগুলিতেও ছিল মিশ্র সুর। এই ড্রয়ের পর ইউনাইটেডের শীর্ষ চারে থাকার সম্ভাবনা কমে গেল আরও একটু। চার ও পাঁচে থাকা টটেনহ্যাম হটস্পার ও অ্যাস্টন ভিলার চেয়ে ১০ পয়েন্ট পেছনে টেন হাগের দল।
লিগে ম্যাচ বাকি আছে আর মেটে ছয়টি। চোট সমস্যায় এখনও জর্জরিত ইউনাইটেড। টেন হাগের কথায় হতাশার সুর কিছুটা ফুটে উঠল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার আশা নিয়ে।
“আমরা যা পারি, তা দিয়েছি। এখন আমাকে বাস্তবিক হতে হবে। পুরো স্কোয়াড থাকলে হয়তো বিশ্বাস উঁচু থাকত…। যারা আছে, তাদেরকে নিয়েই আমরা লড়াই করব। সম্ভাবনা আছে তাদের, তবে তারা এখনও তরুণ, তাদেরও ভুল হয়।”
“এই ছেলেরা দেখিয়েছে, তারা বিশ্বের সেরা দলের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। তারা প্রমাণ করেছে তা। তবে সেটা এখন ধারাবাহিকভাবে করতে হবে তাদের। তরুণদের জন্য এটিই সবসময় পরের পদক্ষেপ।”
তার কথার সূত্রেই প্রশ্ন ছুটে গেল, “শীর্ষ চারে থাকার আশা কি তাহলে ছেড়ে দিয়েছেন?” টেন হাগ এবার বললেন, “না, না, আমি তা বলিনি…।”