গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ ষোলোয় রিয়াল

একটি-দুটি নয়, তিন-তিনটি পেনাল্টি হয়েছে ম্যাচের প্রথমার্ধেই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2022, 07:36 PM
Updated : 2 Nov 2022, 07:36 PM

প্রথমার্ধেই পেনাল্টির বাঁশি বাজল তিনবার! দুটি কাজে লাগাল রিয়াল মাদ্রিদ। সুযোগ হাতছাড়া করল সেল্টিক। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিনবার গোলের সৌরভ ছড়াল রিয়াল। দাপুটে জয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর মঞ্চে উঠল কার্লো আনচেলত্তির দল। 

সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বুধবার রাতে ৫-১ গোল জিতেছে রিয়াল। লুকা মদ্রিচ দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রদ্রিগো। দ্বিতীয়ার্ধে জালের দেখা পান মার্কো আসেনসিও, ভিনিসিউস জুনিয়র ও ফেদেরিকো ভালভেরদে।

শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়েছিল আগেই, তবে আনচেলত্তির দলের লক্ষ্য ছিল ‘এফ’ গ্রুপের সেরা হওয়া। ছয় ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লক্ষ্যপূরণ করল শিরোপাধারীরা।

অন্য ম্যাচে শাখতার দোনেৎস্ককে ৪-০ গোলে হারিয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে লাইপজিগ।

ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। আসেনসিওর পাস ধরে দুরূহ কোণ থেকে রদ্রিগোর নেওয়া শট জো হার্ট আটকানোর পর বক্সেই বল যায় ভালভেরদের কাছে। অনেকটা লাফিয়ে তার নেওয়া ভলি জার্মান ডিফেন্ডার মরিৎস ইয়েন্সের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন মদ্রিচ।

সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ চতুর্দশ মিনিটে পায় সেল্টিক। কিন্তু দেইজেন মায়েদার আড়াআড়ি ক্রসে ঠিকঠাক পা ছোঁয়াতে পারেননি কিয়োগো ফুরুহাশি। বল বেরিয়ে যায় পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে।

১৯তম মিনিটে ভিনিসিউসের শট গোলরক্ষক ফেরানোর পর বক্সে বল পেয়ে যান রদ্রিগো। এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শট ম্যাট ও’রাইলির হাতে লাগলে ভিএআর দেখা পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। হার্টকে বিপরীত দিকে ছিটকে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রদ্রিগো। একটু পরই ফাঁকায় বল পেয়ে উড়িয়ে মেরে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করেন ভিনিসিউস।

Also Read: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় উঠল যারা

Also Read: আলভারেসের নৈপুণ্যে সিটির দুর্দান্ত জয়

Also Read: ইউভেন্তুসের আঙিনায় জয়ের পরও পিএসজির হতাশা

দুই গোলে পিছিয়ে পড়লেও দমে যায়নি সেল্টিক। সুযোগ পেলেই থিবো কোর্তোয়ার পরীক্ষা নিতে থাকে তারা। ২৬তম মিনিটে ফুরুহাশি ও তিন মিনিট পর রেও হাতাতের শট আটকান রিয়াল গোলরক্ষক।

৩৩তম মিনিটে ইয়োসিপ ইয়োরানোভিচের স্পট কিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে আটকে সেল্টিকের হতাশা আরও বাড়ান কোর্তোয়া। বক্সে লিয়েল আবাদাকে ফেরলঁদ মঁদি ফাউল করলে পেনাল্টি পেয়েছিল তারা।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় রিয়াল। দানি কারভাহালের বাইলাইনের একটু ওপর থেকে বাড়ানো কাটব্যাক নিখুঁত শটে জালে জড়ান আসেনসিও।

গ্রুপ পর্বে সেল্টিকের জয়হীন থাকা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ৬১তম মিনিটে। ভালভেরদের আড়াআড়ি ক্রস আটকাতে হার্ট হাত বাড়ালেও তার আগেই প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন গোলমুখে থাকা ভিনিসিউস।

এরপরই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে তুলে করিম বেনজেমাকে বদলি নামান আনচেলত্তি। কারভাহাল, মদ্রিচ ও ডেভিড আলাবার বদলি নামেন লুকাস ভাসকেস, দানি সেবাইয়োস ও নাচো। ৭১তম মিনিটে বক্সের ঠিক উপর থেকে বুলেট গতির শটে গোলের খাতায় নাম তোলেন ভালভেরদে।

বের্নাবেউয়ে একটি গোল পাওয়ার আশায় হাল না ছেড়ে মাঝেমধ্যে আক্রমণ করতে থাকে সেল্টিক। কিন্তু কোর্তোয়ার দেয়াল কোনোভাবেই ভাঙতে পারছিল না তারা। অবশেষে ৮৪তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোতার নেওয়া ফ্রি কিকে পরাস্ত হন রিয়াল গোলরক্ষক।

তাতে দুই লেগে রিয়ালের বিপক্ষে হারলেও অন্তত প্রতিপক্ষের জালের দেখা পাওয়ার এক চিলতে তৃপ্তি সঙ্গী হলো সেল্টিকের। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে রিয়ালের কাছে তারা হেরেছিল ৩-০ গোলে।

লাইপজিগের কাছে হেরে যাওয়া শাখতার ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয় হয়ে নেমে গেছে ইউরোপা লিগে। আগেই গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়া সেল্টিক ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থেকে শেষ করল আসর।