প্রিমিয়ার লিগে বসুন্ধরা কিংসকে চাপে রাখার কাজটুকু ভালোভাবেই করে যাচ্ছে আলফাজ আহমেদের দল।
Published : 06 Apr 2024, 05:51 PM
দৃষ্টিনন্দন গোল উপহার দিলেন মোজাফ্ফর মোজাফ্ফরভ। জালের দেখা পেলেন সুলেমানে দিয়াবাতে ও জাফর ইকবাল। প্রিমিয়ার লিগে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে দারুণ জয় পেল মোহামেডানে।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শনিবার ৩-১ গোলে জিতেছে মোহামেডান। গত ডিসেম্বরে প্রথম লেগে দুই দলের ম্যাচটি হয়েছিল ১-১ ড্র।
লিগ টেবিলে ১১ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মোহামেডান। তাদের চেয়ে ৫ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস।
টানা দুই ড্রয়ের পর হেরে যাওয়া শেখ রাসেলের পয়েন্ট ১১।
শুরু থেকে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। প্রথম ভালো সুযোগটি তৈরি করে মোহামেডান, কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে মোজাফ্ফরভের দূরপাল্লার জোরাল শট লাফিয়ে টোকায় বাইরে পাঠান মিতুল মার্মা। আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় এরপর কয়েকটি ‘হাফ-চান্স’ নষ্ট হয় শেখ রাসেলের।
৩৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় মোহামেডান। বক্সের বাইরে থেকে এমানুয়েল সানডের গতিময় শট মিতুল ফেরালেও ক্লিয়ার করতে পারেননি পুরোপুরি। ফিরতি বল দিয়াবাতে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করলে পেছন থেকে তাকে ফেলে দেন সাগর মিয়া; পেনাল্টির বাশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে বল জালে পাঠান দিয়াবাতেই।
একটু পরই আরেক ধাক্কা খায় শেখ রাসেল। বিরতির বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আক্রমণে উঠছিল তারা, কিন্তু অফসাইডের পতাকা তোলেন সহকারি রেফারি। এর প্রতিবাদ জানায় শেখ রাসেলের ডাগ আউটে থাকা কোচ ও খেলোয়াড়রা। এক পর্যায়ে চতুর্থ রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়ান শেখ রাসেলের কোচ ইউগোস্লাভ ত্রেনচোভস্কি। তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি আলমগীর সরকার।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ দিকে সমতার স্বস্তি সঙ্গী হয় শেখ রাসেলের। বক্সের মধ্যে মেহেদি হাসান মিঠুর হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় দলটি। স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করেন সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড ভোজিস্লাভ বালবানোভিচ।
দ্বিতীয়ার্ধে মোহামেডানের আগ্রাসী ফুটবলের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারছিল না শেখ রাসেল। ৫০তম মিনিটে মিতুলকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি দিয়াবাতে।
অনেক প্রচেষ্টার পর ৭২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় মোহামেডান। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে মোজাফ্ফরভের শট বাঁক খেয়ে মিতুলকে বোকা বানিয়ে জড়ায় জালে। দূরপাল্লার শটে নিয়মিত গোল করে চলেছেন উজবেকিস্তানের এই ফরোয়ার্ড। ফেডারেশন কাপের সবশেষ ম্যাচেও একইভাবে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন তিনি।
পাঁচ মিনিট পর তৃতীয় গোলটি করেন বদলি খেলোয়াড় জাফর ইকবাল। দিয়াবাতের কাটব্যাকে দূরের পোস্টে আলতো ছোঁয়ায় এই ফরোয়ার্ড বল জালে পাঠালে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় মোহামেডানের মুঠোয়।
একটু পরেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় শেখ রাসেল; তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা বলতে গেলে শেষ হয়ে যায় তখনই। মোহামেডামের এক ফুটবলারকে ফাউল করায় গিনিয়ান ফরোয়ার্ড সিকু সিল্লাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
দিনের অন্য ম্যাচে, গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও বাংলাদেশ পুলিশের ম্যাচটি ২-২ ড্র হয়েছে। ১১ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট শেখ জামালের; ১৪ পয়েন্ট বাংলাদেশ পুলিশের।