বহুল আলোচিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগ কার্যত শেষ বলেই ধারণা অনেকের। তবে এবার নতুন চেহারার সুপার লিগের পরিকল্পনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকবে ৮০টি ক্লাব।
বিচ্ছিন্ন সুপার লিগ তৈরিতে পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা করার জন্য গঠিত সংস্থা এ-টোয়েন্টিটু স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী বেরন্ড রাইচার্ট বৃহস্পতিবার এই পরিকল্পনার কথা জানান।
৫০টি ইউরোপিয়ান ক্লাব ও ফুটবলের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সংস্থাটির আলোচনার প্রাথমিক ফলাফলের রূপরেখা দিয়ে এ দিন বিবৃতি দেওয়া হয়। ইউরোপিয়ান ফুটবলে এই পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করছে তারা।
কোনো স্থায়ী সদস্য থাকবে না, প্রতিযোগিতাটি হবে খেলাধুলার পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে। প্রতি মৌসুমে প্রতিটা ক্লাবের অন্তত ১৪টি করে ইউরোপিয়ান ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা থাকবে।
২০২১ সালের এপ্রিলে ঢাকঢোল পিটিয়ে সুপার লিগের ঘোষণা দিয়েছিল ইউরোপের ১২টি ক্লাব। তবে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে ফুটবল সংস্থাগুলোর প্রবল চাপ এবং সাবেক-বর্তমান ফুটবলারদের তীব্র সমালোচনার মুখে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভেস্তে যায় তাদের সব পরিকল্পনা।
একে একে সরে দাঁড়ায় ৯টি ক্লাব- ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, চেলসি, টটেনহ্যাম হটস্পার, আর্সেনাল, এসি মিলান, ইন্টার মিলান ও আতলেতিকো মাদ্রিদ। মূলত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে চ্যালেঞ্জ জানানো প্রস্তাবিত টুর্নামেন্টটি এরপর এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও ইউভেন্তুস।
সুপার লিগ আয়োজনের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই চারিদিক থেকে এতে জড়িত ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিতে থাকে ফিফা ও উয়েফা। সঙ্গে বিভিন্ন দেশের জাতীয় পর্যায়ের সংস্থাগুলোও।
ফলে আগাম নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর ব্যবস্থা করতে শুরুতেই আদালতের আশ্রয় নেয় সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ। আগামীর পথচলা মসৃণ করার লক্ষ্যে পরে লুক্সেমবার্গ ভিত্তিক ‘কোর্ট অব জাস্টিস অব দা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন’-এ আবেদন করে তারা। এই বছর এটির রায় আসার কথা।
শুরু থেকে সুপার লিগের বিরোধিতা করে আসছেন লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেবাস। এতে কেবল বড় ক্লাবগুলি লাভবান হবে বলে মনে করেন তিনি। সুপার লিগ ইউরোপিয়ান ফুটবলকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে বলে বৃহস্পতিবার টুইট করেন তেবাস।