চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
তার বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বায়ার্ন মিউনিখ কোচ।
Published : 12 Mar 2025, 05:19 PM
অনেক ফুটবলারের ক্ষেত্রে বয়স ৩০ বছর পেরিয়ে গেলে ধীরে ধীরে তার ধার কমতে শুরু করে। কিন্তু হ্যারি কেইনের ক্ষেত্রে উল্টো হচ্ছে বলে মনে করছেন বায়ার্ন নিউনিখ কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি। তার মতে, ইংলিশ স্ট্রাইকার ক্রমেই যেন আরও কার্যকর হয়ে উঠছেন।
সবশেষ বায়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করে দলের ২-০ গোলের জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন কেইন। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-০ গোলের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে মিউনিখের দলটি।
৫২তম মিনিটে ফ্রি কিকে লেভারকুজেন তাদের বক্সে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে, কাছ থেকে গোলটি করেন কেইন। প্রথম ইংলিশ খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক আসরে ১০ গোল করার কীর্তি গড়লেন অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার।
পরে ৭১তম মিনিটে কেইনের কাছ থেকে বল পেয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলফুঁস ডেভিস। সতীর্থের ক্রস থেকে বক্সে হাফ ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন কানাডার এই ডিফেন্ডার।
ম্যাচটি শেষে ‘জয়ের নায়কের’ ভূয়সী প্রশংসা করেন কোচ।
“দলে যখন এমন একজন শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলার থাকে, যে তরুণ খেলোয়াড়ের মতো দৌড়াতে ও লড়াই করতে চায়, তখন সেটা দলকে সাহায্য করে।”
কোচিং ক্যারিয়ার শুরুর আগে দীর্ঘসময় ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলেছেন কোম্পানি। আর বায়ার্নে আসার আগে ইংল্যান্ডর আরেক ক্লাবে টটেনহ্যাম হটস্পারে ছিলেন কেইন। ফলে, অন্তত প্রিমিয়ার লিগে প্রায়ই মুখোমুখি লড়াইয়ে নামতেন তারা।
পুরোনো সেই অভিজ্ঞতার সঙ্গে এখনকার তুলনা করেই কেইনের পারফরম্যান্সে মুগ্ধতা বাড়ছে কোম্পানির।
“প্রতিপক্ষ হিসেবে আমি তার বিপক্ষে খেলেছি এবং বয়সের সঙ্গে সে আরও ভালো হয়ে উঠছে। পারফরম্যান্সে উন্নতির জন্য সঠিকভাবে কাজ করার তার বিশেষ ধরন আছে। তার ধারাবাহিকতায় আমি আস্থা রাখি এবং নিজের খেলার উন্নতির জন্য সে কাজ করে এবং তার মতো এমন মান থাকলে সাফল্য আসবেই।”
লেভারকুজেনের বিপক্ষে গত সপ্তাহের প্রথম লেগেও জোড়া গোল করেছিলেন কেইন। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে ছয়বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন।