চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
Published : 17 Apr 2025, 02:59 AM
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৯ মিনিটের মধ্যে গোলের দেখা মিলল তিনটি। পরে আরেকটি। তাতে উত্তেজনা ফিরল লড়াইয়ে। তবে প্রথম লেগের ফলই গড়ে দিল পার্থক্য। বায়ার্ন মিউনিখকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠল ইন্টার মিলান।
মিলানের সান সিরোতে বুধবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগ ২-২ ড্রয়ে, দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারের টিকেট পেয়েছে ইতালিয়ান ক্লাবটি। প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেছিল তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ২-২ করেন হ্যারি কেইন। একটু পরই তিন মিনিটের মধ্যে লাউতারো মার্তিনেস ও বাঁজামাঁ পাভার্দের লক্ষ্যভেদে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইন্টার। এরিক ডায়ার ফিকে হয়ে যাওয়া আশা জাগালেও, শেষ পর্যন্ত পারেনি ছয়বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে ইন্টার।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকে শুরু থেকে। প্রথম তিন মিনিটে দুই দলেরই একটি করে প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় রক্ষণে। ষষ্ঠ মিনিটে প্রথমবার গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারে বায়ার্ন; টমাস মুলারের নিচু শট ঠেকান ইয়ান সমের।
নবম মিনিটে প্রথম শট লক্ষ্যে রাখতে পারে ইন্টার। বক্সের বাইরে থেকে ফেদেরিকো দিমার্কোর প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক ইয়োনাস উরবিগ।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আক্রমণে দাপট দেখালেও পরিষ্কার কোনো সুযোগ অবশ্য তৈরি করতে পারেনি বায়ার্ন। বেশ কয়েকটি ‘হাফ চান্স’ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে নিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ২-২ করেন কেইন। স্বাগতিকরা হেডে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ার পর লেয়ন গোরেটস্কা বল পেয়ে বক্সে খুঁজে নেন ইংলিশ স্ট্রাইকারকে। এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে নিচু শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। একটুও নড়ার সুযোগ পাননি গোলরক্ষক।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কেইনের গোল হলো ১১টি।
বায়ার্নের সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ থাকেনি। ৫৮ থেকে ৬১, এই তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচে ২-১ ও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইন্টার।
প্রথম গোলটি করেন মার্তিনেস। কর্নারে এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের মাথা ছুঁয়ে বল বায়ার্নের এক ডিফেন্ডারের পায়ে বাধা পাওয়ার পর, জোরাল শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
ইন্টারের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোলের কীর্তি গড়লেন মার্তিনেস।
এরপর বক্সের বাইরে থেকে মাত্তেও দারমিয়ানের জোরাল শট গোললাইনে প্রতিহত হওয়ার পর, ওই কর্নারেই হেডে গোল করেন পাভার্দ।
৭৬তম মিনিটে লড়াইয়ে আবার উত্তেজনা ফেরায় বায়ার্ন। কর্নারে হেডে ম্যাচে ২-২ সমতা টানেন ডায়ার।
তখন এক গোলের ঘাটতি পুষিয়ে উঠতে ইন্টারের ওপর চাপ বাড়ায় বায়ার্ন। শেষ দিকে তো খেলা হয় ইন্টারের অর্ধেই। ছয় মিনিট যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে দারুণ সুযোগও পেয়ে যায় সফরকারীরা। কিন্তু মুলারের হেডে জোর ছিল না তেমন, সেভ করে ইন্টারকে রক্ষা করেন সমের।
একেবারে শেষ মুহূর্তে কিংসলে কোমানের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার পরই শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা সান সিরো।
বের্নাবেউয়েও বর্ণহীন রেয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে আর্সেনাল