হালকা প্রস্তুতির সময়ও পায়ের ব্যথায় কাঁতরাতে দেখা গেল ভুটান ম্যাচে দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করা এই ফরোয়ার্ডকে।
Published : 17 Sep 2022, 06:53 PM
একই জায়গায় ব্যথা পাওয়ায় খেলা নিয়ে শঙ্কার জায়গা আছেই। তবে সিরাত জাহান স্বপ্নার মনোবলও প্রবল। স্বপ্নের ফাইনালের আগে কোনোভাবেই হাল ছাড়ছেন না ছন্দে থাকা এই ফরোয়ার্ড। এমনকি ব্যথা নিয়েও নেপালের বিপক্ষে মাঠে যেতে চান তিনি।
ডান পায়ের গোড়ালির একটু উপরে আগে থেকেই ব্যথা ছিল। তারপরও ভুটানের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে নেমে যান টেপ পেচিয়ে। ১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে গোলও করেন স্বপ্না। দ্বাদশ মিনিটে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের কড়া ট্যাকলে আঘাত পান একই জায়গায়, মাঠ ছাড়েন খুড়িয়ে খুড়িয়ে।
সেই চোটের জন্যই নেপালের বিপক্ষে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে পাওয়া নিয়ে জেগেছে শঙ্কা।
গত চার ম্যাচে চার গোল করেছেন স্বপ্না। পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি, সাফের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে দুটি এবং সবশেষ ভুটান ম্যাচে দলকে গোল এনে দেন দ্বিতীয় মিনিটেই। প্রতি ম্যাচ গতির তোড়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণ এলোমেলো করে দেওয়া এই ফরোয়ার্ডকে মহাগুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে পাওয়ার জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষার কথা জানান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
কিন্তু ফাইনালের দেরি নেই। আগামী সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে শনিবার দশরথের লাগোয়া আর্মি হেডকোয়ার্টার মাঠে প্রস্তুতি নেয় দল। সে সময় দেখা গেছে, ফিজিও লাইজু ইয়াসমিন লিপা ম্যাসাজ করার সময় ব্যথায় কাঁতরাচ্ছেন স্বপ্না। বারবার অনুরোধও করছেন আস্তে ম্যাসাজ করতে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় শঙ্কার কালো মেঘটুকু আত্মবিশ্বাসের তোড়ে উড়িয়ে দিতে চাইলেন স্বপ্না। যদিও এক রাশ বিষণ্নতার ছাপ সারাক্ষণই উঁকি দিল এই ফরোয়ার্ডের চোখে-মুখে।
“পায়ের অবস্থা… এখনও তো অনেক ব্যাথা। ফিজিও যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছেন ম্যাচের আগে পুরোপুরি ফিট করে তোলার, বাকিটা আল্লাহ ভরসা। আগে থেকেই হালকা চোট এখানে ছিল, ট্যাপিং করে নেমেছিলাম, যেহেতু ভুটানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সেমি-ফাইনাল ছিল। কাল ওই ট্যাকলের আঘাতটাও লেগেছে একই জায়গায়, তাই ব্যথাটা একটু বেশি। তবে আমার ইচ্ছা ফাইনাল খেলার।”
স্বপ্নার এই দুর্নিবার ইচ্ছার কারণ পিছু ফিরে দেখা ২০১৯ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সেবার নেপালের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে তার শট ফিরিয়ে দিয়েছিল ক্রসবার। এবার তিনি নেপালের জালের দেখা পেতে উন্মুখ হয়ে আছেন।
“(বিরাটনগরে) আমি তো ভেবেছিলাম ওটা গোল, কিন্তু দূর্ভাগ্য ক্রসবারে লেগে ফিরল। এবারও যদি সুযোগ পাই, তাইলে তো অবশ্যই কাজে লাগাব। এটা ফাইনাল, এখানে সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে। নেপালের বিপক্ষে সুযোগ কমই আসবে, তা পেলেই কাজে লাগাতে হবে।”