এই রায় ‘ভুল’ বলে মনে করেন ইউভেন্তুসের ফরাসি মিডফিল্ডার।
Published : 29 Feb 2024, 08:28 PM
ডোপিংয়ের দায়ে চার বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়াটা মানতে পারছেন না পল পগবা। বলেছেন, এই খবর শুনে তার হৃদয় ভেঙে গেছে। ইতালির জাতীয় ডোপিং-বিরোধী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া এই রায় ‘ভুল’ বলে মনে করছেন ইউভেন্তুসের ফরাসি মিডফিল্ডার।
গত ২০ অগাস্ট সেরি আয় উদিনেজের বিপক্ষে ইউভেন্তুসের ম্যাচের পর দৈবচয়ন ভিত্তিতে পগবার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ৩-০ গোলে জেতা ওই ম্যাচে বেঞ্চে থাকলেও তিনি খেলেননি।
টেস্টে পগবার শরীরে উচ্চমাত্রার টেসটোস্টেরোনের উপস্থিতি পাওয়ায় সেপ্টেম্বরে তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। পরের মাসে এই ফুটবলারের ‘বি’ নমুনার টেস্টের রিপোর্টও পজিটিভ আসে।
টেসটোস্টেরোন এমন এক হরমোন, যা অ্যাথলেটদের শক্তিবর্ধন করে।
ডোপ-বিরোধী বিধি ভাঙার দায়ে ফুটবল থেকে ৩০ বছর বয়সী পগবার চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার খবর আসে বৃহস্পতিবার। ইউভেন্তুস বিবিসিকে জানায়, এ দিন সকালে ডোপিং-বিরোধী ট্রাইব্যুনাল থেকে তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
কয়েক ঘন্টা পর ইনস্টাগ্রামে বিবৃতি দিয়ে পগবা লিখেছেন, এই রায়ে খুবই অবাক হয়েছেন তিনি।
“আজ ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়েছে এবং আমি বিশ্বাস করি, রায়টি ভুল। আমি মর্মাহত, বিস্মিত এবং আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। আমার পেশাদার খেলোয়াড়ি জীবনে যা কিছু অর্জন করেছি, তা আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”
ইচ্ছাকৃতভাবে ডোপ-বিরোধী কোনো কাজ করেননি বলেও দাবি করেন ফ্রান্সের ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই ফুটবলার।
"যখন আমি আইনি বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত হব, তখন পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে, কিন্তু আমি কখনই জেনেশুনে বা ইচ্ছাকৃতভাবে ডোপ-বিরোধী নিয়ম লঙ্ঘন করে এমন কোনো ওষুধ গ্রহণ করিনি।”
"একজন পেশাদার ক্রীড়াবিদ হিসেবে নিষিদ্ধ পদার্থ ব্যবহার করে আমার পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য কখনই কিছু করব না। আমি যে দলগুলোর হয়ে বা বিপক্ষে খেলেছি তাদের কোনো সতীর্থ ক্রীড়াবিদ ও সমর্থকদের অসম্মান বা তাদের সঙ্গে প্রতারণা করিনি।”
এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করার কথাও জানান পগবা।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছয় মৌসুম কাটানোর পর ২০২২ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে পুরনো ঠিকানা ইউভেন্তুসে ফেরেন পগবা। তবে তুরিনের ক্লাবটিতে যাওয়ার পর একের পর এক চোটে খুব বেশি ম্যাচ তিনি খেলতে পারেননি।