বিশেষ উপলক্ষ রাঙাতে ১০০ নম্বর জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা, কিন্তু আবারও তাকে মাঠ ছাড়তে হলো চোটের হতাশায় কাঁদতে কাঁদতে।
Published : 17 Apr 2025, 11:14 AM
উপলক্ষটি ছিল নেইমারের জন্য বিশেষ কিছু। সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে তার শততম ম্যাচ। তিনি মাঠে নেমেছিলেন ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে। দীর্ঘদিন পর জায়গা করে নিয়েছিলেন শুরুর একাদশে। তাকে দেখতে মাঠে ছিল দর্শকের ভীড়, গ্যালারিতে ছিল উন্মাদনা। তার দলের শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু স্বপ্নময় সেই আবহ বদলে গেল দুঃস্বপ্নে। প্রথমার্ধেই নেইমারকে মাঠ ছাড়তে হলো অশ্রুসিক্ত চোখে।
বরাবরের মতোই চোট নেইমারের নিত্যসঙ্গী হয়ে আছে সান্তোসেও। অনেক দিন বাইরে থাকার পর গত রোববার ফ্লুমিনেসির বিপক্ষে ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে ফেরেন তিনি। বুধবার আতলেতিকো মিনেইরোর বিপক্ষে তাকে শুরুর একাদশে রাখেন কোচ সেজার সাম্পাইয়ো।
শুরু থেকেই অবশ্য সংশয় ছিল, তিনি আদতে শতভাগ ফিট কি না। দুই উরুতেই মোটা করে টেপ পেচিয়ে নামতে দেখা যায় তাকে। মাঠে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করতে দেখা যায়নি ৩৩ বছর বয়সী তারকাকে।
তার দল অবশ্য ২৪ ও ২৭তম মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। তবে ভুগতে থাকা নেইমার নিজের পরিণতি বুঝে যান ৩৪তম মিনিটে। বাঁ উরুতে হাত রেখে একটু খোঁড়াতে দেখা যায় তাকে। ডাগআউটের দিকে ইশারা করেন বদলির জন্য। উরু চেপে বসে পড়েন মাঠেন। এতক্ষণ ধরে উল্লাস করতে থাকা গ্যালারিও তখন প্রায় নিশ্চুপ।
মাঠে বসে থাকা অবস্থায়ই তার চোখ দিয়ে ঝরতে থাকে পানি। সতীর্থরা ও প্রতিপক্ষের কেউ কেউ তাকে সান্ত্বনা দেন। এক পর্যায়ে দুজনের সহায়তায় কার্টে বসে তিনি মাঠ ছাড়েন। দর্শকেরা বিপুল করতালিতে তাকে সাহস জোগান।
ডাগআউটে গিয়েও কাঁদতে দেখা যায় তাকে। পায়ে বরফ লাগিয়ে বসে থাকেন কিছুক্ষণ। তার শুশ্রূষা শুরু হয় দ্রুতই।
চোটে পড়ে আগেও নানা সময়ে চোখের পানিতে মাঠ ছেড়েছেন নেইমার।
সৌদি আরবের আল-হিলাল থেকে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে গিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার মাঠে নামেন তিনি। টানা সাতটি ম্যাচে খেলেন এই তারকা, আস্তে আস্তে তার মাঠে থাকার সময় বাড়তে থাকে। তবে গত ২ মার্চ করিঞ্চাসের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোটে পড়ে বাইরে থাকেন ছয় সপ্তাহ।
এই সময়টায় ব্রাজিল জাতীয় দলে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ওই চোটের কারণে মার্চের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি।
যে উরুর চোটের কারণে তিনি বাইরে ছিলেন, সেখানেই আবার সমস্যা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। চোটের ধরন বা কতটা গুরুতর, তা কিছু জানানো হয়নি আনুষ্ঠানিকভাবে।