স্প্যানিশ ফুটবল
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রীতিকর আচরণের শিকার হচ্ছেন রেফারি হোসে মুনুয়েরা।
Published : 18 Feb 2025, 04:45 PM
রেয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যামকে লাল কার্ড দেখানোর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রীতিকর আচরণের শিকার হচ্ছেন হোসে মুনুয়েরা। তার পরিবারকেও দেওয়া হচ্ছে হুমকি। সহকর্মীর ওপর এমন আক্রমণে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন রেফারিরা।
স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন আরএফইএফ সোমবার বিবৃতি দিয়ে রেফারিদের ক্ষোভের কথা জানায়। সেখানে বলা হয়, ম্যাচ অফিসিয়ালদের যে ‘ঘৃণা ও গালিগালাজ’ সহ্য করতে হয়, এই পরিস্থিতি সেটাই তুলে ধরছে।
লা লিগায় গত শনিবার ওসাসুনার বিপক্ষে রেয়ালের ১-১ ড্র হওয়া ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে ঘটে এই কাণ্ড। রেফারিকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বলতে দেখা যায় বেলিংহ্যামকে। এরপরই তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি মুনুয়েরা।
তার মনে হয়েছে, তাকে উদ্দেশ্য করে বাজে কোনো মন্তব্য করেছেন ২১ বছর বয়সী বেলিংহ্যাম। ম্যাচ শেষে যদিও ইংলিশ মিডফিল্ডার দাবি করেন, রেফারিকে অপমানজনক কিছু বলেননি। ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়েছেন তিনি।
পরে রেয়াল কোচ কার্ল আনচেলত্তি স্বীকার করে নেন বেলিংহ্যামের গালি দেওয়ার বিষয়টি। তবে সেটি রেফারিকে ছিল না বলেও পরিষ্কার করেন তিনি।
এরপর থেকেই মুনুয়েরাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের বাজে আচরণের শিকার হতে হচ্ছে। যা নিয়ে এবার রেফারিরা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।
“আমাদের সহকর্মী হোসে লুইস মুনুয়েরা মন্তেরোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে আক্রমণ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যেগুলো শুধু তাকে ব্যক্তিগতভাবে নয় তার পরিবারকেও লক্ষ্য করে করা হচ্ছে, এর জন্য পেশাদার রেফারিরা ভীষণ বিরক্ত।”
ম্যাচ অফিসিয়ালের প্রতি ‘আপত্তিকর শব্দ বা মনোভাব’ এর জন্য দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারেন বেলিংহ্যাম। তবে রেয়াল ফুটবলারের দাবি, রেফারি তাকে ভুল বুঝেছেন।
“আমি একজন ইংলিশ ফুটবলার… আর যখন আমি মাঠে কথা বলি, তখন এটা স্বাভাবিক যে আমার অভিব্যক্তিগুলো সহজতাভাবেই ইংরেজিতে আসে।”
“কোনো অপমানজনক কথা ছিল না, ভিডিওতে এখনই চাইলে দেখতে পারেন। এটি আমার নিজের ওপর হতাশার বহিঃপ্রকাশ ছিল, আমি এমনকি রেফারির দিকেও মুখ করে ছিলাম না। তবে স্পষ্টই একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তার মনে হয়েছে, আমি তাকে বাজে কিছু বলেছি।”