চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পর চারটি গোল হজম করল পেপ গুয়ার্দিওলার দল, অবিস্মরণীয় এক জয় তুলে নিল হুবেন আমুরির স্পোর্তিং লিসবন।
Published : 06 Nov 2024, 04:00 AM
শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পর অনেক সুযোগ হারাল ম্যানচেস্টার সিটি। পেনাল্টি মিস করে হতাশা আরও বাড়ালেন আর্লিং হলান্ড। চেনা আঙিনায় উজ্জীবিত পারফরম্যান্স উপহার দিল স্পোর্তিং লিসবন। ভিক্তর ইয়োকেরেসের হ্যাটট্রিকে স্মরণীয় এক জয় তুলে নিল পর্তুগিজ দলটি।
লিসবনে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্পোর্তিং।
ফিল ফোডেনের গোলে সিটি এগিয়ে যাওয়ার পর প্রথমার্ধেই সমতা ফেরান ইয়োকেরেস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাক্সিমিলিয়ানো আরাউহো স্বাগতিকদের লিড এনে দেওয়ার পর ইয়োকেরেস ব্যবধান বাড়ান পেনাল্টি থেকে। শেষ দিকে আরেকটি পেনাল্টি থেকে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই সুইডিশ ফরোয়ার্ড।
স্পোর্তিংয়ের কোচ হিসেবে ঘরের মাঠে এটিই ছিল হুবেন আমুরির শেষ ম্যাচ। আর কেবল একটি ম্যাচে স্পোর্তিংয়ের ডাগআউটে দাঁড়াবেন দলটিকে দারুণ সব সাফল্য এনে দেওয়া ৩৯ বছর বয়সী পর্তুগিজ কোচ। এরপর তিনি দায়িত্ব নেবেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। হয়তো স্পোর্তিং-সিটি ম্যাচে বাড়তি নজর ছিল ইউনাইটেড সমর্থকদের। তাদের প্রত্যাশাও এখন বেড়ে যাবে অনেক।
টাচলাইনে পেপ গুয়ার্দিওলার বিপক্ষে তিনবারের দেখায় আমুরির প্রথম জয় এটিই। সব ঠিক থাকলে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর আবার দেখা হবে দুজনের, এবার ম্যানচেস্টার ডার্বিতে।
এই হারে সিটির দুঃসময় লম্বা হলো আরও। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচ হারল তারা। ২০১৮ সালের এপ্রিলের পর এই প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হলো তাদের। এই ক্লাবে আট বছরের সাফল্যমণ্ডিত অধ্যায়ে মাত্র দ্বিতীয়বার এক মৌসুমে টানা তিন হারের তেতো স্বাদ পেলেন গুয়ার্দিওলা।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের পর সিটির সবচেয়ে বড় হার এটিই।
অথচ ম্যাচের শুরুটা তাদের ছিল আশা জাগানিয়া। চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় সিটি। প্রতিপক্ষের একজনের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফোডেন।
অষ্টম মিনিটে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ হারান ইয়োকেরেস। মাঝমাঠ থেকে থেকে বল ধরে এগিয়ে যান তিনি। সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক। কিন্তু দুর্বল শটে এদেরসনের হাতে বল তুলে দেন ইয়োকেরেস।
পরের মিনিটে হলান্ডের প্রচেষ্টা ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি স্পোর্তিং গোলরক্ষক।
সিটির বেশ কিছু সুযোগ নষ্টের পর ৩৮তম মিনিটে সমতায় ফেরে স্পোর্তিং। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইয়োকেরেস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা স্বপ্নের মতো হয় স্পোর্তিংয়ের। এই অর্ধে কিক-অফের ২০ সেকেন্ডের মাথায় এগিয়ে যায় তারা। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে ক্ষিপ্রতায় বক্সে ঢুকে পড়েন আরাউহো। সতীর্থের পাস পেয়ে এদেরসনের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি।
বের্নাবেউয়ে এবার রেয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল এসি মিলান
দিয়াসের হ্যাটট্রিকে লিভারপুলের ‘চারে চার’
পরের মিনিটে ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাওকে সিটির ডিফেন্ডার ইয়োশকো ভার্দিওল বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট-কিকে স্কোরলাইন ৩-১ করেন ইয়োকেরেস।
৬৯তম মিনিটে ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন হলান্ড। পেনাল্টি ক্রসবারে মারেন তিনি। বের্নার্দো সিলভার শট বক্সে স্পোর্তিংয়ের একজনের হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
৭৯তম মিনিটে মাথেউস নুনেস ফাউল করায় আরেকটি পেনাল্টি পায় স্পোর্তিং। হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ইয়োকেরেস।
শুরুতে সহজ সুযোগ নষ্ট করেছিলেন যিনি, সেই তিনিই শেষ পর্যন্ত হয়ে গেলেন ম্যাচের নায়ক।
অবিশ্বাস্য এই জয়ে চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠেছে স্পোর্তিং। ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল।
৭ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে ম্যানচেস্টার সিটি।