চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
দ্বিতীয়ার্ধের চার গোলে বায়ার লেভারকুজেনকে উড়িয়ে দিয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি।
Published : 06 Nov 2024, 03:59 AM
প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের ঠিকঠাকই আটকে রাখতে পারল বায়ার লেভারকুজেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের কোনো সুযোগই দিল না স্বাগতিকরা। লুইস দিয়াসের হ্যাটট্রিকে তাদের উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা চতুর্থ জয় পেল লিভারপুল।
অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে ৪-০ গোলে জিতেছে আর্না স্লটের দল। অন্য গোলটি করেছেন কোডি হাকপো।
বল দখলে এগিয়ে ছিল জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। তবে সুযোগ তৈরি, গোলের জন্য শট ও লক্ষ্যে রাখার মতো ব্যাপারগুলোয় অনেক বেশি আধিপত্য ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ দলটির।
শেষটা একপেশে হলেও শুরুতে ছিল লড়াইয়ের আভাস। গতিময় ফুটবল খেলা চলে ‘বক্স টু বক্স।’ আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে বেশ উত্তাপ ছড়ালেও গোলের তেমন পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কেউ।
চতুর্দশ মিনিটে প্রথম কোনো দল শট লক্ষ্যে রাখতে পারে। গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে লিভারপুলকে হতাশ করেন কার্টিস জোন্স। দুই মিনিট পর একই অভিজ্ঞতা হয় লেভারকুজেনের এডমুন্ড টাপসোবার।
৪৪তম মিনিটে লিভারপুলের জালে বল পাঠান জেরেমি ফ্রিমপং। তবে এই ডাচ ডিফেন্ডারের হ্যান্ডবলের জন্য মেলেনি গোল।
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ডেডলক ভাঙার দারুণ সুযোগ পান হাকপো। কিন্তু বিপজ্জনক জায়গা থেকেও গোলরক্ষক বরাবর শট নেন তিনি।
প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে খেই হারানোর ধারা বজায় থাকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও। সে সময়ে দুই গোলরক্ষকের কারোরই খুব একটা পরীক্ষায় পড়তে হয়নি।
৫৮তম মিনিটে সুযোগ এসেছিল মোহামেদ সালাহর সামনে। তবে দুরূহ কোণ থেকে শট লক্ষ্য রাখতে পারেননি তিনি।
অবশেষে ৬১তম চমৎকার চিপে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন দিয়াস। জোন্সের দারুণ থ্রু পাসে প্রথম স্পর্শে আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড।
এরপরই পাল্টে যায় খেলার চিত্র। এলোমেলো হয়ে যায় গত আসরে চমক জাগানো ফুটবল উপহার দেওয়া লেভারকুজেন। রক্ষণের ব্যর্থতায় হজম করে আরও তিন গোল।
বের্নাবেউয়ে এবার রেয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল এসি মিলান
ইয়োকেরেসের হ্যাটট্রিক, লিসবনে সিটির দুঃস্বপ্নের রাত
৬৩তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিভারপুল। সালাহর নিখুঁত ক্রসে দূরের পোস্টে ডাইভিং হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন অরক্ষিত হাকপো। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের। শুরুতে অফসাইডের ইশারা দেন লাইন্সম্যান। তবে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ভিক্টর বোনিফেইস। কর্নারের পর আলেক্স গ্রিমাল্দোর ক্রসে খুব কাছে থেকেও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
৭২তম মিনিটে আলেক্সিস মাক আলিস্তেরের শট ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি লেভারকুজেন গোলরক্ষক।
৮৩তম মিনিটে স্কোর লাইন ৩-০ করে ফেলেন দিয়াস। সালাহর ক্রস দূরের পোস্টে প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি।
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন দিয়াস। দারউইন নুনেসের শট একজন রুখে দিলে পেয়ে যান কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। বাকিটা অনায়াসেই সারেন তিনি।
টানা চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আছে লিভারপুল। টানা দুই জয়ে আসর শুরুর পর একটি করে ড্র ও হারে বেশ পিছিয়ে পড়েছে লেভারকুজেন। ৭ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত ১১ নম্বরে আছে তারা।