গোলটি বাতিল হয়ে যায় কিনা, সেই দুর্ভাবনায় মুহূর্তটি অবশ্য ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের ভীষণ উৎকণ্ঠায় কেটেছিল।
Published : 10 Apr 2025, 04:46 PM
বলের গতি-প্রকৃতি ঠিকঠাক বুঝে উঠতে না পেরে, লক্ষ্যে থাকা বলে শেষ মুহূর্তে স্লাইড করে পা ছুঁইয়ে দিলেন রাফিনিয়া-তাতে পাউ কুবার্সির সম্ভাব্য গোলটি হয়ে গেল ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ওই গোল বার্সেলোনার দাপুটে জয়ের পথ তৈরি করে দেয়। কিন্তু সেটাই রাফিনিয়ার মনে যেন একটা কাঁটা হয়ে বিঁধছে। এজন্য সতীর্থের কাছে ‘ক্ষমা চাইতেও’ দেরি করেননি তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে বার্সেলোনার একপেশে জয়ের ম্যাচের ঘটনা এটি। ফ্রি কিকে ইনিগো মার্তিনেসের হেডের পর পাউ কুবার্সির শটে বল কোবেলের হাতে লেগে জালেই যাচ্ছিল, সহজাত প্রতিক্রিয়ায় ছুটে গিয়ে গোললাইনের ওপর পা ছুঁয়ে গোল নিজের করে নেন রাফিনিয়া।
পরে রবের্ত লেভানদোভস্কির জোড়া গোল ও লামিনে ইয়ামালের লক্ষ্যভেদে বুধবার রাতের ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতে শেষ চারে এক পা দিয়েছে কাতালান ক্লাবটি।
ম্যাচের পর খুব স্বাভাবিকভাবে রাফিনিয়ার দিকে প্রশ্ন ছুটে যায় গোলটি নিয়ে, যেখানে তার ওই এক ছোঁয়ায় গোলটি হারাতেও পারতো বার্সেলোনা।
“অফসাইডে ছিলাম কি-না, প্রথম গোলের সময় আমি এই চিন্তায় ছিলাম। যাক, শেষ পর্যন্ত গোলটা দেওয়া হয়েছে। কুবার্সির কাছে আমি ক্ষমা চেয়েছি। সে এটা নিয়ে ভাবতে মানা করেছে, সে এটাকে একটা অ্যাসিস্ট হিসেবে ধরছে। আমি ভেবেছিলাম, বল বাইরে চলে যাচ্ছে, ওটা ছিল একটা সহজাত প্রতিক্রিয়া।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমে দলের মতো দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলেছেন রাফিনিয়াও, আসরে তার মোট গোল হলো ১২টি-অন্য সবার চেয়ে বেশি। এই ম্যাচে লেভানদোভস্কি ও ইয়ামালের গোলে ভূমিকাও রেখেছেন তিনি, তাতে আসরে তার মোট অ্যাসিস্ট হলো সাতটি।
সব মিলিয়ে, এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোট ১৯টি গোলে জড়িয়ে রাফিনিয়ার নাম, কোনো এক আসরে লিওনেল মেসির সেরা পারফরম্যান্সের সমান। দলের সাফল্যে ধারাবাহিকভাবে অবদান রাখতে পেরে খুব খুশি তিনি।
“শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলারদের সঙ্গে খেলতে খুব ভালো লাগে। মাঠে আমরা একে অপরকে খুব ভালোভাবে জানি এবং এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দারুণ সবকিছু অর্জন করছি এবং আশা করি এভাবেই এগিয়ে যাব।”
চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে ৪৮ ম্যাচ খেলে ২১টিতে চার বা তার বেশি গোল করল বার্সেলোনা।
প্রায় ম্যাচেই আক্রমণের ঝড় তোলা দলটির এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত মোট গোল ৯৯টি, আর এর মূল কৃতিত্ব দলটির আক্রমণত্রয়ীর। সর্বোচ্চ ৪০ গোল একাই করেছেন লেভানদোভস্কি, রাফিনিয়ার গোল ২৮টি এবং ইয়ামাল করেছেন ১৪টি।
আগামী মঙ্গলবার ডর্টমুন্ডের মাঠে অবিশ্বাস্য কোনো নাটকীয়তার দেখা না মিললে, ২০১৯ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে খেলবে বার্সেলোনা।