চুমুকাণ্ডে রুবিয়ালেসের আড়াই বছরের জেল চান প্রসিকিউটর

যৌন নিপীড়ন ও জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে লুইস রুবিয়ালেসের এই শাস্তি চাওয়া হয়েছে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2024, 01:03 PM
Updated : 28 March 2024, 01:03 PM

মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর চুমু কাণ্ডের জন্য স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরইএফএফ) সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসের শাস্তির আবেদন করেছেন স্পেনের সরকারি কৌঁসুলিরা। তার আড়াই বছরের জেল চাওয়া হয়েছে।  

গত বছর বিশ্বকাপ ফাইনালের পদকমঞ্চে শিরোপা জয়ী স্পেনের ফরোয়ার্ড জেনিফার এরমোসোকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুমু দেন রুবিয়ালেস। 

আদালতের নথি দেখার দাবি করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ৪৬ বছর বয়সী রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন এবং জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনেছেন সরকারি কৌঁসুলি মার্তা দুরান্তেস। প্রথম অপরাধের জন্য ১ বছর এবং দ্বিতীয়টির জন্য ১৮ মাস বা দেড় বছর সাজা চেয়েছেন তিনি। 

চুমুটি দুজনের সম্মতিতে হয়েছিল- এরমোসোকে এমন কথা বলতে বাধ্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে স্পেনকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ হোর্হে ভিলদা, ফেডারেশনের বর্তমান ক্রীড়া পরিচালক আলবার্ত লুকি, ফেডারেশনের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান রুবেন রিভেরার বিরুদ্ধে। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, এই তিন কর্মকর্তা এরমোসোকে তার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের মাধ্যমে ‘নিরবচ্ছিন্নভাবে বারবার চাপ প্রয়োগ’ করে হয়রানি করেছেন। 

আদালতে হাজির হয়ে তিন জনই অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন। দোষী সাব্যস্ত হলে প্রত্যেকের ১৮ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। 

এরমোসোকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে চার জনকে মোট এক লাখ ইউরো দিতে বলেছেন কৌঁসুলি দুরান্তেস। রুবিয়ালেসকে এই অর্থের অর্ধেক একাই দিতে বলা হয়েছে। 

রুবিয়ালেসকে এরমোসোর ২০০ মিটারের মধ্যে যেতে বারণ এবং তার সঙ্গে আগামী সাড়ে সাত বছর যোগাযোগ না করার আদেশের অনুরোধও করেন দুরান্তেস। 

বিশ্বকাপ ফাইনালে গত ২০ অগাস্ট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পদক পরিয়ে দেওয়ার সময় স্পেন দলের সব ফুটবলারকেই আলিঙ্গন করেন রুবিয়ালেস। গালে ও কপালে চুমু এঁকে দেন অনেকের। তবে এরমোসোকে বেশ কিছুটা সময় আলিঙ্গনে জড়িয়ে রেখে পরে দুহাত দিয়ে মাথায় ধরে ঠোঁটে চুমু দিয়ে বসেন তিনি। 

ওই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন রুবিয়ালেস। সমালোচনাকারীদের প্রথমে ‘ইডিয়ট’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে সমালোচনার তীব্রতা বাড়লে বিতর্কিত ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান। দাবি করেন, এরমোসোরও এতে সম্মতি ছিল। তবে এরমোসো পরিষ্কার করে বলেন, তার কোনো সম্মতি ছিল না। 

চাপের মুখে গত সেপ্টেম্বরে আরইএফএফ সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান রুবিয়ালেস। এরমোসো পরে রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেন। 

ফিফা প্রাথমিকভাবে রুবিয়ালেসকে ৯০ দিনের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। ফিফার শৃঙ্খলাবিধির ১৩ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের জন্য গত অক্টোবরে তাকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে সংস্থাটি।