বায়ার্ন মিউনিখের এই ফুটবলারের মতে, রেয়াল মাদ্রিদ শক্ত প্রতিপক্ষ, তবে নিজেদেরও খুব একটা পিছিয়ে রাখছেন না তিনি।
Published : 29 Apr 2024, 06:45 PM
ভিনিসিউস জুনিয়র প্রতিপক্ষের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন, তা ভালো করেই জানেন জসুয়া কিমিখ। তার মতে, এই মুহূর্তে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সেরা দুই খেলোয়াড়ের একজন রেয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলিয়ান তারকার মুখোমুখি হতে মুখিয়ে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের ফুটবলার কিমিখ।
ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে মঙ্গলবার ঘরের মাঠে রেয়ালের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।
দলের প্রয়োজনে মিডফিল্ড কিংবা রক্ষণ, দুই জায়গাতেই খেলতে হয় কিমিখকে। রেয়ালের বিপক্ষে হয়তো রাইট-ব্যাক হিসেবে খেলতে হবে তাকে। সেক্ষেত্রে তার জন্য বড় হুমকি হবেন ভিনিসিউস।
রাইট-ব্যাক হিসেবে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় পিএসজির ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপেকে ভালোভাবেই আটকে রাখতে পেরেছিলেন কিমিখ। এই মৌসুমে কোয়ার্টার-ফাইনালে আর্সেনাল ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির বিপক্ষেও কাজটা ভালোভাবে করেছেন তিনি।
স্প্যানিশ পত্রিকা এএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই জার্মান ফুটবলার বললেন, এবার ভিনিসিউসের বিপক্ষে খেলতে অধীর হয়ে অপেক্ষায় আছেন তিনি।
“দুর্ভাগ্যবশত বা সৌভাগ্যবশত, রাইট অথবা লেফট-ব্যাক হিসেবে খেললে প্রতিপক্ষের সেরা খেলোয়াড়ের মুখোমুখি হতে হবে। সামনে থাকবে এমবাপে বা ভিনিসিউসের মতো খেলোয়াড়... এই মুহূর্তে ইউরোপীয় ফুটবলের সেরা দুই খেলোয়াড় তারা। আমি জানি, ওয়ান-অন-ওয়ানে সে (ভিনিসিউস) খুবই শক্তিশালী, অনেকটা কিলিয়ান এমবাপের মতো। তাই তার মুখোমুখি হতে এবং তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়ে আমি খুব খুশি।”
অনেকে মনে করেন, আক্রমণে যতটা শক্তিশালী ভিনিসিউস, রেয়ালের জন্য রক্ষণে অতটাই দুর্বলতার জায়গা তিনি। কিমিখ অবশ্য প্রতিপক্ষের দুর্বলতা নিয়ে না ভেবে শক্তির জায়গাকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন।
“আমাদের সবার কিছু দুর্বলতা এবং কিছু শক্তির জায়গা আছে। আমি তার দুর্বলতা নিয়ে কথা বলতে চাই না। ভিনিসিউস খুবই শক্তিশালী একজন খেলোয়াড়। আমাকে মনোযোগ ধরে রাখতে হবে, রক্ষণ সামলাতে হবে এবং আক্রমণে ওঠার সুযোগ আসলে, অবশ্যই আমি তা করতে চাই। তবে শুরুতে আমাদের রক্ষণভাগে মনোযোগ দিতে হবে এবং আমাদের খেলায় মনোযোগী হতে হবে।”
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে রেয়ালের বিপক্ষে বায়ার্নের সবশেষ দেখা হয়েছিল ২০১৭-১৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালেই। সেবার দুই লেগেই কিমিখের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল জার্মান দলটি। কিন্তু দুবারই ঘুরে দাঁড়িয়ে, বায়ার্নকে বিদায় করে ফাইনালে উঠেছিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
কিমিখ মনে করেন, ছয় বছরে দুই দলই বদলে গেছে অনেক। এবার তাই পুরোপুরি ভিন্ন এক লড়াই হবে বলে বিশ্বাস তার।
“আমি মনে করি না এটা আগের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি, কারণ দুই দলই এখন পুরোপুরি ভিন্ন। কিছু খেলোয়াড় আছে যারা ২০১৮ সালে খেলেছিল, তবে এটি ছয় বছর আগের। দল বদলেছে। এখন পুরোপুরি ভিন্ন দুটি দল।”
তবে মঞ্চটা যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তখন এই প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রেয়াল যে বিশেষ কিছু, সেটাও মনে করিয়ে দিলেন কিমিখ।
“রেয়াল মাদ্রিদকে যখনই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেখবেন, তাদের দুর্দান্ত মানসিকতা এবং মান দেখতে পাবেন। তাদের শক্তিশালী দল আছে। অনেক প্রতিভা, অভিজ্ঞতাও অনেক। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে তা অনুভব করা যায়। আমরা লাইপজিগের বিপক্ষে (শেষ ষোলোয়) তাদের দুটি ম্যাচ দেখেছি, যেখানে মাঠে সামগ্রিকভাবে লাইপজিগ সম্ভবত সেরা দল ছিল, কিন্তু, শেষ পর্যন্ত… ।”
“কয়েক বছর আগে আমার গোলে দুই লেগেই তারা পিছিয়ে পড়ে এবং সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায়। এসব ম্যাচ সবসময় শেষ দিকে বদলে যায়। এটিই তাদের মান, তাদের মানসিকতা। আমরা জানি, তাদের খুব শক্তিশালী দল আছে। তবে আমরাও পরিণত এক দল।”