২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্য এখনও ঠিক করেননি বলে জানালেন আর্জেন্টাইন মহানায়ক।
Published : 18 Oct 2024, 11:09 AM
ফুটবল থেকে প্রায় সবটুকুই পাওয়া হয়ে গেছে। প্রাপ্তিতে টইটম্বুর ঝুলিতে অপূর্ণতা বলতে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। লিওনেল মেসি তাই এখন শুধু নিজের প্রিয় কাজ উপভোগ করে যেতে চান। আগামী বিশ্বকাপে খেলা আপাতত তার ভাবনায় নেই। ফুটবল খেলার আনন্দে ডুব দিয়ে প্রতিটি দিন কাটিয়ে দিতে চান আর্জেন্টাইন মহানায়ক।
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার প্রশ্নটি এখন নিয়মিতই শুনতে হচ্ছে মেসিকে। বয়স ৩৭ পেরিয়ে গেলেও তার পারফরম্যান্সে ভাটার টান তেমন একটা নেই। ক্লাব ও দেশের হয়ে এখনও তিনি উজ্জ্বল। চোটের কারণে বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকার পরও ইন্টার মায়ামির হয়ে মৌসুমজুড়ে তার পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। দেশের হয়ে সবশেষ ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেছেন, বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ৬-০ গোলের জয়ে পাঁচ গোলে ছিল তার সরাসরি সম্পৃক্ততা।
সব মিলিয়ে যেভাবে তিনি ছুটছেন, আগামী বিশ্বকাপেও তার জাদুর পরশ পড়া এখন খুব সম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। তবে মেসি নিজে অতদূর তাকাচ্ছেন না। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কার ‘আমেরিকা লেজেন্ড’ অ্যাওয়ার্ড আয়োজনে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বললেন, ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে তার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে উপভোগের আনন্দ।
“আপাতত বলা যায়, সময় হলে দেখা যাবে। সময়ের আগে যেতে পছন্দ করি না আমি বা বেশি দূরে তাকাতে চাই না। প্রতিটি দিন উপভোগ করতে চাই। আমার চাওয়া শুধু, ভালো অনুভব করা এবং খুশি থেকে যেন এই পর্যায়ে খেলে যেতে পারি।”
“যে কাজটি করতে সবচেয়ে ভালোবাসি (ফুটবল খেলা) সেটি করতে পারলেই খুশি থাকি। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার চেয়েও এটা আমার কাছে বেশি মূল্যবান। বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে কোনো লক্ষ্য ঠিক করিনি। বরং প্রতিটি দিনে থাকতে চাই এবং ভালো থাকতে চাই।”
বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির পরও এই উপভোগের আনন্দের কথাই বলেছিলেন মেসি। সেখানে অবশ্য শেষের ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছিলেন।
“ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো তারিখ বা সীমা ঠিক করিনি আমি। আপাতত সবকিছু উপভোগ করছি। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আমি বেশি আবেগময় এবং লোকের ভালোবাসা লুফে নিচ্ছি, কারণ ভালো করেই জানি, আমার শেষ কিছু ম্যাচ হতে পারে এগুলো।”
আর্জেন্টিনার হয়ে গত বিশ্বকাপ, সবশেষ দুটি আমেরিকাসহ ক্লাব ও দেশ মিলিয়ে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে রেকর্ড ৪৬টি ট্রফি জিতেছেন মেসি। সবশেষ জিতেছেন ইন্টার মায়ামির হয়ে সাপোর্টার্স শিল্ড। মেজর লিগ সকারে ক্লাবটির বড় ট্রফি এটি।
তার ক্যারিয়ারের অন্য সব ট্রফির তুলনায় এটির ওজন খুব বেশি নয়। তবে এই ক্লাবের জন্যই ট্রফিটির গুরুত্ব মেসির কাছে অনেক বেশি।
“যখন এখানে (ইন্টার মায়ামি) আসার সিদ্ধান্ত নিলাম, সেটা অবসর ভাবনা থেকে নেইনি। এখানে এসেছি এই ক্লাবকে বড় করে তোলার চেষ্টা করতে, দলকে শিরোপা জয়ে সহায়তা করতে। সেটা আমরা করছি এবং আরও কিছু করার কাছাকাছি আছি।”