আন্তর্জাতিক ফুটবল
দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ সালের সেই বিশ্বকাপ জয়ের মানসিকতা দলের মধ্যে ফিরে এসেছে বলে মনে করেন লুইস দে লা ফুয়েন্তে।
Published : 25 Dec 2024, 06:39 PM
বছর দুয়েক আগে স্পেনের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একটি স্বপ্নই দেখেছেন লুইস দে লা ফুয়েন্তে- দলের মধ্যে ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ের মানসিকতা ফিরিয়ে আনা। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। এই বছরে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর ২০২৬ বিশ্বকাপেও দারুণ কিছুর আশায় আছেন ৬৩ বছর বয়সী কোচ।
নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ ট্রফি স্পেন জেতে ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত আসরে। এর আগে-পরে ২০০৮ ও ২০১২ সালে তারা ঘরে তোলে ইউরোর ট্রফি।
মাঝে অনেকটা সময় আর কোনো শিরোপার স্বাদ তারা পাচ্ছিল না। পারফরম্যান্সও খুব একটা ভালো হচ্ছিল না। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দে লা ফুয়েন্তে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বদলে যেতে শুরু করে তারা। ২০২২-২৩ মৌসুমে তারা জেতে উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা। আর গত জুন-জুলাইয়ে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ইউরোতে হয় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন।
শুধু শিরোপা জয়ই নয়, দে লা ফুয়েন্তের কোচিংয়ে খেলার ধরনও পাল্টে ফেলেছে স্পেন। বছরের পর বছর ধরে অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে ছোট ছোট পাসে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ‘তিকি-তাকা’ কৌশল বদলে এখন তারা আরও বেশি গতিময়, প্রতিপক্ষের গোল-মুখে আরও বেশি ধারাল।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে আশার কথা শোনালেন দে লা ফুয়েন্তে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় যৌথভাবে হতে যাওয়া এই আসরে দল এখনকার চেয়ে আরও ভালো হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস তার।
“খুব অল্প সময় বাকি (২০২৬ বিশ্বকাপের), কারণ ১৮ মাস খুব দ্রুত চলে যাবে। তবে আমরা প্রস্তুত, সত্যি বলতে আমি খুব আশাবাদী। কারণ এই দলের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে আমি জানি, তারা তৃপ্ত নয়, তারা জিততে চায়। জানি না আমরা কতদূর যাব (বিশ্বকাপে), তবে এই ১৮ মাসের মধ্যে আমরা এখনকার চেয়ে আরও ভালো দল হয়ে উঠব। সেখানে নতুন খেলোয়াড় থাকবে এবং যারা এখন আছে, তারা আরও পরিণত হবে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার বিশ্বকাপের জন্য আমরা এখনকার চেয়ে আরও ভালো দল হব।”
“আমি জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার মুহূর্ত থেকে আমার লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার (২০১০ বিশ্বকাপের) মানসিকতা পুনরুদ্ধার করা এবং আমি মনে করি, বেশি বা কম, আমরা তা অর্জন করেছি: আমাদের একটি চ্যাম্পিয়ন দল আছে, যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং জেতে। আমরা যারা ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত স্পেনের জয়ের চক্র উপভোগ করেছি, তাদের সবসময় সেই গর্ব পুনরুদ্ধারের আশা ছিল। আমি মনে করি, এই গ্রীষ্মে আমরা আবার তা অনুভব করতে শুরু করেছি।”