বই বিক্রিতে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
Published : 31 Jan 2024, 10:03 PM
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বিনামূল্যে বিতরণের মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্য বই কেজি দরে বিক্রির সময় সেগুলো আটক করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় পাটিখালঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিশির দাস জানান, আটক পাঠ্য বই ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির। কয়েকটি বস্তায় ভরা বইগুলোর ওজন হয়েছে ২১৫ কেজি।
বুধবার বিকালে উপজেলার মরিচবুনিয়া বাজারে পেছনের সড়ক থেকে বইসহ ট্রাক আটক করেন এলাকার মো. সোহেল মিয়ার নেতৃত্বে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের বইগুলো গোপনে ইউনিয়নের তারাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিক্রি করছিলেন।
উদ্ধারের পর বইগুলো ইউনিয়ন পরিষদে জমা রাখা হয়েছে জানিয়ে চেয়ারম্যান শিশির দাস বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।”
স্থানীয় সোহেল মিয়া বলেন, “২০২৩ সালের পাঠ্য বই সংরক্ষণ না করে তা বিক্রি করা হচ্ছিল। বইসহ ট্রাকটি আমরা আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে রাখি।”
ট্রাকের চালক বাগেরহাট সদরের বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহ জানান, এ উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের মো. রুবেল হাওলাদার নামের একজন তাকে বই নিয়ে ঢাকা যাওয়ার জন্য ভাড়া করেন। রুবেল মিয়া বইগুলো কেজি দরে কেনন।
এ ব্যাপারে রুবেল হাওলাদার বলেন, “প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম সরকারি বই বিক্রি করে এখন অস্বীকার করছেন।”
বই বিক্রিতে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ও দপ্তরি না বুঝেই পুরাতন বই ও খাতা বিক্রি করেছেন। বইগুলো স্কুলে ফেরত আনা হবে।”
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. আনোয়ার আযিম বলেন, “সরকারি বই বিক্রি করার কোনো বিধান নেই। বিক্রি করা বই ফেরত নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”