লাকসামে সেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তে মাউশি

কমিটি প্রধান বলেন, “আমাদের আরো কিছু কাজ বাকি রয়েছে; সেগুলো শেষ হলেই তদন্ত প্রতিবেদন মহাপরিচালকের দপ্তরে পাঠানো হবে।”

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2023, 12:50 PM
Updated : 9 Nov 2023, 12:50 PM

নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বাদ দিয়ে অন্য শিক্ষকদের এমপিও করানোর অভিযোগে কুমিল্লার লাকসামের একটি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি।

গত সোমবার ওই কলেজে গিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছেন বলে মাউশি গঠিত কমিটির প্রধান ও কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হাসনাত আনোয়ার উদ্দিন আহমেদ গত বুধবার জানান।

লাকসামের নুরুল আমিন মজুমদার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম ও এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষকদের বিচার চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে অভিযোগ দেন আমিনুল ইসলাম নামে এমপিও বঞ্চিত এক শিক্ষক।

আমিনুল বলেন, “নিয়োগ পেয়েও এমপিও বঞ্চিত হয়ে আমি বিগত সময়ে এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিক দপ্তরে অভিযোগ করেছি। সবশেষ চলতি বছরের ২৩ মার্চ দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করি।”

দুদকে করা অভিযোগটি আমলে নেয় সংস্থাটি। দুদকের সিদ্ধান্তে অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ তদন্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একটি কমিটি গঠন করেন।

কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হাসনাত আনোয়ার উদ্দিন আহমেদ বলেন, “দুদক থেকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য মাউশির মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়।

“এরপর আমাকে প্রধান করে আরো দুজন শিক্ষককে নিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করতে বলা হয়েছে মাউশির মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে।”

কমিটি প্রধান আরও বলেন, “আমাদের আরো কিছু কাজ বাকি রয়েছে; সেগুলো শেষ হলেই তদন্ত প্রতিবেদন মহাপরিচালকের দপ্তরে পাঠানো হবে। আমরা তদন্তে পাওয়া প্রকৃত ঘটনাই প্রতিবেদনে তুলে ধরব।”

জানতে চাইলে লাকসামের নুরুল আমিন মজুমদার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম বলেন, “আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। তদন্তে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ আমি কোনো অনিয়ম করিনি।”