ইমাম হোসেন সরকারি উচ্চ-বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
Published : 28 Jan 2024, 06:55 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল আসনের একটি কেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষের মধ্যে আহত এক আওয়ামী লীগ নেতার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ২১ দিন পর।
রোববার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে ৫৫ বছর বয়সী আব্দুল জলিল মারা যান বলে নান্দাইল থানার ওসি মো. আব্দুল মজিদ জানান।
মৃত জলিল শেরপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং একই এলাকার মৃত কুমেদ আলীর ছেলে।
নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান বলেন, “৭ জানুয়ারি ভোটের দিন কেন্দ্র দখল নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতিকের আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের সমর্থকদের হামলায় আব্দুল জলিল গুরুতর আহত হয়েছিলেন।”
ঘটনার বর্ণনায় উপজেলার শেরপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ বলেন, বেলা ২টার দিকে শেরপুর ইউনিয়নের ইমাম হোসেন সরকারি উচ্চ-বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে তুহিনের সমর্থকরা। এ সময় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ মনোনিত মেজর আব্দুস সালামের সমর্থকরা তাদের আটকাতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
“এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীর হামলায় গুরুতর আহত হন জলিল। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই জলিলকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।”
ময়মনসিংহ-৯ আসনে জয় পান মেজর আব্দুস সালাম। পরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরদিন ১২ জানুয়ারি তিনি জলিলকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন বলে এ কৃষকলীগ নেতা জানান।
এদিকে জলিলের মৃত্যুতে শোক এবং হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
এ বিষয়ে জানতে সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের মোবাইল নম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেন নাই।
ওসি মজিদ বলেন, “ভোটের দিনের মারামারিতে আহত হয়ে জলিল মারা গেছেন বলে শুনেছি। এ ঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারি মামলা হলে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”