নাটোর জেলায় মোট ৮৮ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজের চাষ হলেও সিংহভাগই হয়েছে (৬৫ হেক্টর) নলডাঙ্গায়।
Published : 30 Mar 2024, 08:51 AM
ভালো ফলন ও বেশি লাভের আশায় ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজের বীজ চাষে স্বপ্ন বুনছেন নাটোরের নলডাঙ্গার কৃষকরা।
বীজের জমির পরিচর্যা, আগাছা পরিষ্কার, পরাগায়ন ও কীটনাশক প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই এলাকার পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা। তারা কৃষি শ্রমিক হিসেবে বাড়তি আয় করতে পারছেন।
নাটোরের পাটুলে দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজের চাষ করেছেন কৃষক শুকুর আলী।
জমি তৈরি, পরিচর্যা, আগাছা পরিষ্কার, পরাগায়ন, কীটনাশক প্রয়োগসহ আনুষঙ্গিক কাজে বিঘাতে তার খরচ হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চার লাখ টাকার বীজ বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
পেঁয়াজের ফুল দেখতে অনেকটা কদম ফুলের মত হলেও রংটা হয় সাদা আর বীজ হয় কালো। ফলে এর বীজ ‘কালো সোনা’ নামে খ্যাত।
স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্য বলছে, পেঁয়াজ চাষের জন্য সমৃদ্ধ উপজেলা নলডাঙ্গায় এ বছর ২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। পুরো নাটোর জেলায় মোট ৮৮ হেক্টর জমিতে শুধু পেঁয়াজ বীজের চাষ হলেও এর সিংহভাগই (৬৫ হেক্টর) নলডাঙ্গায়।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের ৬৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের হিসাব ছাড়িয়ে যাবে চলতি বছরে।
স্থানীয় কৃষি অফিস বলছে, গত বছর পেঁয়াজের বীজ বিক্রি হয়েছে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা কেজি দরে।
এবার পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় বাজারে বীজের দামও বেশি হবে।
নলডাঙ্গার কৃষি কর্মকর্তা মোছা. ফৌজিয়া ফেরদৌস বলেন, “ভালো দাম ও উৎপাদন বেশি হওয়ায় কালো সোনায় এবার লাভবান হবেন কৃষকেরা। এ বিষয়ে স্থানীয় চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।”
তবে শহীদ সরকারসহ স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের দাবি, ভালো ফলনে মুখে হাসি ফোটালেও উৎপাদন খরচ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে খুব বেশি লাভের মুখ দেখার সুযোগ নেই।